ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমছে

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৬ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৮:৩৯, ৬ জুন ২০২৪
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমছে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের কথা বলা হলেও চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তুলনায় প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে চার হাজার ৫০২ কোটি টাকা কম বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরর প্রস্তবিত বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধি উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১০৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানীকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অনশোর এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। 

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের আহরণ এবং এর সুুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনীল অর্থনীতি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ২০২৩  প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় অগভীর সমুদ্রের ৯টি ব্লক ও গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ শুরু করা হয়েছে। দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেডের পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ মে. টন থেকে বৃদ্ধি করে ৪৫ লাখ মে. টনে উন্নীত করার জন্য ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় এ খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। 

উল্লেখ্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।

হাসনাত/তারা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়