‘প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের ওপর জোর দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। আশরাফ আহমেদ বলেন, বাজেটে গত বছরের চেয়ে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য কর ব্যবস্থা চালুকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তন এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬ শতাংশ। যা বিগত বছরের চাইতে কম, প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্ত হবে না। তবে করজাল বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কম। তা আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকট দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন। যদিও বিষয়টি বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে, আবার কিছু কিছু পণ্যের উপর কর হার বাড়িয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ।

এ সময় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫ শতাংশ কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে টেকসই ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এডিপি বাস্তবায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।