ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

গভর্নরকে বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ৭ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৭:৪০, ৭ জুন ২০২৪
গভর্নরকে বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ অন্যরা

বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। দীর্ঘ দিনেও সে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া ও অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতে বাধার প্রতিবাদে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের বক্তব্য বয়কট করেছেন অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকরা।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে হয়। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের পক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, গভর্নর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে রেখেছেন। অমরা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করে আসছি। কিন্তু, গভর্নর মানেননি। এজন্য আজ গভর্নরের বক্তব্য বয়কট করবেন সাংবাদিকরা। 

এ সময় অস্বস্তির মধ্যে পড়েন গভর্নর এবং তিনি বক্তব্য দেবেন না বলে অর্থমন্ত্রীকে ইশারা দেন। পরে খেলাপি ঋণ, অর্থপাচারসহ ব্যাংক খাত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। এ সময় গভর্নর চুপচাপ বসে ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়। এ বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

এনএফ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়