ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যয় বাড়লো ১১১ কোটি টাকা

৪ লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশের ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেইজড অপারেশন ও দৃঢ় করার জন্য ১১১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে দেয়া দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের  (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেইজ্ড অপারেশন ও দৃঢ়করণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। 

কমিটি নতুন করে ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদ দিয়েছে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ২৯০ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ টাকা।  

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত সড়কের আরেকটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই প্রস্তাবে নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ টাকা। প্রকল্পটির এই প্যাকেজের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৫৫৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। 

আবদুল মোমেন লিমিটে এবং স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্পের কাজ করছে।

এদিকে সভায় ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কের নির্মাণ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে একটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৭৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৯১ টাকা। এই প্যাকেজের চুক্তিমূল্য ছিল ১৫১ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৬ টাকা। এ হিসাবে প্রকল্পটির এই প্যাকেজে ব্যয় বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। 

এপ্রোচ সড়কের ফরমেশন লেভেল পরিবর্তন, ইঞ্জিনিয়ার ভবন নির্মাণ স্থলে মাটি ভরাট, পেভমেন্টে ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বৃদ্ধি, সড়কের ১০টি স্লাব কালভার্ট নির্মাণ কাজে ৭৫০ মিমি ব্যাসের পাইল অন্তর্ভুক্ত, ১০টি আরসিসি স্লাব কালভার্ট অন্তর্ভুক্ত, সড়ক বাধের স্লোপ এরিয়া বৃদ্ধির কারণে এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।