ছাগলকাণ্ড
সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও সরানো হচ্ছে মতিউরকে
মতিউর রহমান। ছবি সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর ও আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
পড়ুন: এনবিআরের পদ থেকে সরানো হলো মতিউরকে
এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রিকার তার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটা সত্য হলে দুঃখজনক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের সরকার যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ছিলেন শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, পুনর্নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি গত মাসে অবসরে গেছেন।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি কোরবানির জন্য ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা, সমালোচনা ও খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: রাইজিংবিডি
এ বিষয়ে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাবো। তবে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
/হাসান/সাইফ/