ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:০১, ২ জুলাই ২০২৪
আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্তপ্রায় ঔষধি গাছ সংরক্ষণ ও ভেষজ বনায়ন, হার্বাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।   

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা দেবে। এ খাতের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এজন্য আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হার্বাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে। 

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সকল অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত একটি কৌশলপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন মো. আমিন হেলালী। 

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের মেডিক্যাল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হার্বাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধি বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি। 

নাজমুল/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়