পোশাক খাতের পরিস্থিতি বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে: বিজিএমইএ
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশ্বের বড় কয়েকটি পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠককালে এ অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
বৈঠক শেষে এস এম মান্নান (কচি) সাংবাদিকদের বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। এ খাতের সঙ্গে জড়িত মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইনেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। শিল্পের গতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য বন্দর, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা। পোশাক কারখানাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরেরছি। ক্রেতা প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। একই সঙ্গে চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি করা না হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।
বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, সভায় আমরা গত ১৮ জুলাই শুরু হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেছি। শিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিজিএমইএ’র পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পাঁচ দিন বন্ধের সময় আমরা বেশকিছু উৎপাদন এবং রপ্তানি আয় হারিয়েছি। আমাদের মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইনে বড় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ফলে, কারখানাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যখন টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছিলাম, সে সময় এরকম একটি পরিস্থিতি আমাদের শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা।
তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রথম দিন থেকেই সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। দ্রুততম সময়ে কারখানা চালু করা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছি। সরকার আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
এনএফ/রফিক