তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের বেশিরভাগ ব্যাংক ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’: সিপিডি
ধানমন্ডিতে নিজস্ব কার্যালয়ে ব্যাংকিং খাত বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিং করে সিপিডি
তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের বেশিরভাগ ব্যাংক ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক .ড ফাহমিদা খাতুন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, কতগুলো ক্লিনিক্যালি ডেড, তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা আমার কাছে নেই। আমরা দেখেছি, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলো প্রায় সবগুলোই একেবারেই চলার মতো নয়। তাদেরকে ক্লিনিক্যালি ডেড বলা যায়। অধিগ্রহণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংককে দুর্বল করা হয়েছে।
মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোর বোর্ড বিলীন করে, ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করে এসব ব্যাংককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করার পরামর্শ দিয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, এটার জন্য আলাদা কোনো রুম বা লোকবল বা ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন নেই। এই কমিশন ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে নিয়ম-নীতি প্রতিপালন করা ও নিয়োগে স্বচ্ছতা বাড়ানোর তাগিদ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
হাসনাত/রফিক