এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে
বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। গ্রাহকরা সহজেই পাচ্ছেন এ সেবা। একইসঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে চলতি বছরের জুন মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমনত হিসাব দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭টি। এর মধ্যে নারীদের আমানত হিসাব ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজারটি এবং পুরুষদের ১ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজারটি। এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা।
আগের বছর একই সময়ে আমানত হিসাব ছিল ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজারটি। এর মধ্যে নারীদের আমানত হিসাব ছিল ৯৮ লাখ ১৩ হাজারটি এবং পুরুষদের ৯৭ লাখ ৩ হাজারটি । এসব হিসাবে আমানত ছিল ৩২ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
বছরের ব্যবধানে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। একই সঙ্গে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে ১৬.৫৮ শতাংশ। পুরুষদের অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক নারায়ণগঞ্জের আয়েশা আক্তার বলেছেন, আগে ব্যাংকিং সেবা পেতে শহরে যেতে হতো। এখন আমাদের বন্দরের অলিতেগলিতে এ সেবা বিদ্যমান। আমরা যারা উদ্যোক্তা, তারা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কারণে যে কোনো সময় ব্যাংকিং সেবা সহজেই পাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কর্মকর্তা ফয়সাল। তিনি বলেন, আগে নদী পেরিয়ে শহরে গিয়ে ব্যাংকিং সেবা নিতে হতো বন্দরের মানুষদের। তা খুব কষ্টসাধ্য ছিল। এখন এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্ট থাকায় ব্যাংকিং সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রাহকরা এর সুফল ভোগ করছে। বিশেষ করে, নারীরা এ সেবা পেয়ে খুবই উপকৃত। আমাদের সেবা নিতে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আসছে।
উল্লেখ্য, এজেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু। এর পর থেকে দিন দিন এর পরিধি বাড়ছে। বর্তমানে ৩১টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে দুটি সরকারি, ২১টি বেসরকারি এবং ৮টি ইসলামী ধারার ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা, ঋণ বিতরণ, পরিষেবা বিল পরিশোধ, রেমিট্যান্স গ্রহণসহ নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে।
এনএফ/রফিক