সিঙ্গাপুর-সুইজারল্যান্ড থেকে আসবে দুই কার্গো এলএনজি
জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬৪ টাকা। এই এলএনজি কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (২৩-২৪ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলা থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ সই করা ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৬১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৮৮৪ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ১১৯২ মার্কিন ডলার।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৪-৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৪তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
পেট্রোবাংলা থেকে এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ সই করা ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ মার্কিন ডলার।
এর আগে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দুই কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
এর মধ্যে এক কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য ধরা হয় ১৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। আর এক কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৬৬৯ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য ধরা হয় ১৪ দশমিক ৬৫ মার্কিন ডলার।
এ হিসাবে আগের যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে দামে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, তার তুলনায় এবার সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে কম মূল্যে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।
হাসনাত/এনএইচ