ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

মুজিববর্ষে ব্যয়ের হিসাব চেয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৪  
মুজিববর্ষে ব্যয়ের হিসাব চেয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মুজিববর্ষ পালনে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের হিসাব চেয়ে নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১৮-২০১৯ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এ খাতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, এসবের আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তর এবং সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সার্বিক ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট-১ অনুবিভাগ থেকে ‘মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যয়িত অর্থের হিসাব প্রণয়ন’ শীর্ষক একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিলের স্বাক্ষরিত এ চিঠি ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ (প্রশাসন ও টিডিএম) মোট ৬৩ জনকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কাজের বিবরণ ও প্রকৃত ব্যয় জানাতে বলা হয়েছে। ১২ নভেম্বর ইস্যু করা চিঠিতে একই দিন বিকেল ৪ টার মধ্যে বিবরণ পাঠানোর কথা উল্লেখ ছিল।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসহ সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যয়িত অর্থের হিসাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সভায় উপস্থাপনের জন্য মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যয়িত অর্থের হিসাব ১২-১১-২০২৪ তারিখে বিকেল ৪টার মধ্যে ছক মোতাবেক পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। চিঠিতে ৬ বছরের ব্যয় দেখানোর জন্য একটি ছক দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ঘোষিত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ আখ্যায়িত করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ তার ১০০ বছর পূরণ হয়। এই সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সেটি পরে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর; এমনকি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও মুজিববর্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এতে যেসব অর্থ ব্যয় হয়েছে, তাতে বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মের পাশাপাশি অধিক অর্থ অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়