ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৩ ১৪৩১

খেলাপি ঋণের নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন নির্দেশনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২৮ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:৪২, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
খেলাপি ঋণের নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন নির্দেশনা

ফাইল ফটো

ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবেই আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী খেলাপি ঋণের নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এনে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত গুণমান নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। 

সার্কুলার অনুযায়ী, সব ধরণের ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের জন্য নির্ধারিত দিনের পরবর্তী দিন হতে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে হলে নিম্নমান, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্দেহজনক ও ১২ মাস বা এর অধিক হলে মন্দ ঋণ হিসেবে শ্রেণিকৃত হবে।

নিম্নমান ঋণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনের ভিত্তির উপর ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির উপর ৫০ শতাংশ ও খারাপ বা মন্দ বা ক্ষতিজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির উপর ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালা প্রবর্তন করা হয়। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও পন্থাসমূহ সমন্বয়ের লক্ষ্যে এই নীতিমালায় বিভিন্ন পরিবর্তন এনে ধাপে ধাপে ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালে এই বিষয়ে মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালায় উল্লেখযোগ্য পরিমার্জন করে মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়। এই মাস্টার সার্কুলার জারির পরবর্তীতে উক্ত নীতিমালায় সময় সময় বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালা আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ১২ বছর পর মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এই সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং বিষয়ক একীভূত নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এ সময় ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণ ১৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা/এনএফ/রাজীব


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়