সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা
জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, “আজকের সভায় নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন প্লাস মাদ্রাসার বই। পাঠ্যবই আমরা দ্রুত চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। তবে, জানুয়ারির মধ্যে হয়ত সবগুলো ছাপানো সম্ভব হবে না।”
শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি কি বই পাবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আজকে যেটা আমরা অনুমোদন দিয়েছি, তারা অলরেডি সে কাজ শুরু করে দিয়েছে। অনেক ব্যস্ত প্রেস, চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন প্রয়োজনে সরকারি ক্রয় কমিটির সভা ঘন ঘন হচ্ছে। এসব সভায় অত্যাবশ্যকীয় প্রস্তাবগুলো দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এ সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত, এটা তার একটা প্রমাণ।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাজারে আলুর দাম বাড়লেও অন্য জিনিস সাশ্রয়ী হয়েছে। দাম বাড়ার বিষয়টি সবাই বলে, কিন্তু দাম কমারটা বলে না। বাজারে প্রত্যেকটার দাম কমানো সম্ভব না। বাজার এমন একটা জিনিস, একটার দাম কমবে, একটার দাম বাড়বে।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ক্রয় প্রস্তাবগুলো তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন, সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। এলএনজি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “অনেকের মধ্যে একটি মিসকনসেপশন আছে, সেটা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন। প্রতি টনে সয়াবিন তেলের দাম যত বেড়েছে, ৩০-৪০ বছরে এত বাড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজার তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।”
আপনারা যেভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না—এমন কথা পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা বলেন, “প্রভাব যে একেবারে নেই, তা নয়। আপনারা খালি দেখেন, আলুর দাম বেড়ে গেছে; অন্যগুলো তো সাশ্রয়ী হয়েছে।”
ঢাকা/হাসনাত/রফিক