দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে তুরস্কের প্রতি উপদেষ্টার আহ্বান
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভলিউম বাড়াতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফা তাজকু এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব ) মো. আবদুর রহিম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভলিউম বৃদ্ধি, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ সম্ভাবনা, হালাল ফুড সনদ প্রাপ্তি ও ইকোনমিক কমিশন গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দী বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ভাতৃপ্রতিম দেশ। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের বিভিন্ন খাতে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তুরস্ককে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ হালাল রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে বাংলাদেশের হালাল খাবারের বাজার সম্প্রসারণে তুরস্কের সহযোগিতা চান তিনি।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল সনদ প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তুরস্কের হালাল অ্যাক্রিডিটেশন অথরিটি ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মধ্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হালাল সনদ প্রাপ্তি সহজ করবে। হালাল খাবার রপ্তানি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করবে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।”
বাংলাদেশে বর্তমানে চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন অনেক সহজ করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রিনিউবল এনার্জি, টেলি-কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ফার্মাসিউটিকেল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা, নির্মাণ শিল্প এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তুর্কির বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. ওমর বোলাত বলেন, “বাংলাদেশ এবং তুরস্কের বিভিন্ন মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে।”
বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিকেল রপ্তানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশে রিনিউবল এনার্জি, গাড়ি নিমাণ শিল্প, ফার্মাসিটিক্যালস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত, লজিসটিক্স ও নির্মাণ শিল্প খাতে তুর্কির বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি