ঢাকা     শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩২

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কাজ চলছে’ 

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ৮ এপ্রিল ২০২৫  
‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কাজ চলছে’ 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরো ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।” 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া চিঠির উত্তর পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “না, আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি।”

সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কী হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি। যে কী কী পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল।” 

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন গতকাল আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ... ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরো ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।” 

১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজেটিভ ইমপেক্ট পড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অবশ্যই, আমরা আশা করছি। আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি কীভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়।” 

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা গতকালই ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজেটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা।”

তিনি বলেন, “একদিকে ওনারা করে ফেললো আমরা এডজাস্ট করবো বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি, এই বিষয়টা সমাধান হবে। তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।” 

তিনি আরো বলেন, “আজকে আমরা মসুর ডাল, চাল এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আজকে যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দিয়েছি সেগুলো আগের তুলনায়, মূল্য কম। এটা হচ্ছে কারণ আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটিকয়েক সাপ্লায়ার দিত, এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।”

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়