এডিবির পূর্বাভাস
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশ হবে, বাড়বে মূল্যস্ফীতি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭ থেকে ১০ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবির ঢাকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল, ২০২৫’ প্রতিবেদন তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংস্থাটি চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে আগের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। তবে, তারা আশা করছে, আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে এবং ২০২৬ অর্থবছরে তা আবারো বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, শিল্প খাতে অস্থিরতা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশজ চাহিদা দুর্বল হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমবে। ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং বলেন, বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল আছে, যা গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী করা যেতে পারে। বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বাইরেও তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করা উচিত। স্থিতিশীল অবকাঠামো বৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা উন্নত করা, আর্থিক খাতের সুশাসন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এডিবি জানায়, পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতা, অপর্যাপ্ত বাজার তথ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলের সীমাবদ্ধতা এবং টাকার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। বাণিজ্য ঘাটতি সংকুচিত এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি ১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ০ দশমিক ৯ শতাংশ কমার আশঙ্কা আছে।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক