ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বৃহৎ উদ্ভাবন প্রয়োজন: ডিএসই চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৮, ২০ নভেম্বর ২০২৩  
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বৃহৎ উদ্ভাবন প্রয়োজন: ডিএসই চেয়ারম্যান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে৷ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অবশ্যই বৃহৎ পরিসরে উদ্ভাবন প্রয়োজন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আয়োজিত ‘শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি৷ ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন৷ সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি’র রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম৷

কর্মশালায় হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা প্রবর্তন করেছেন৷ বর্তমানে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ৷ ২০৪১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ ও শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে৷ নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে৷

তিনি বলেন, সমাজের কোনো সমস্যা অনুধাবন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির একমাত্র উপযুক্ত মাধ্যম হলো গবেষণা৷ গবেষণা হলো তথ্য বিন্যস্তকরণ ও নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর উপকরণ৷ গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা দূর করে একটি জাতিকে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছানো সম্ভব৷ গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্ট জ্ঞান, চিন্তা ও আবিষ্কার একটি জাতিকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিতে পারে৷ গবেষণাই পারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে জানা এবং সমাধানের পথ বের করা৷ অধিক গবেষণানির্ভর দেশগুলো বেশি সমৃদ্ধশালী৷ স্মার্ট বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কোনো বিকল্প নেই৷ দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে বহুমাতৃক কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে সরকার৷ এই বাস্তবতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিজয়ের লক্ষ্যে সরকারের মিশন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা৷

উদ্ভাবন বিষয়ে তিনি বলেন, ছোট পরিবর্তন থেকেও বৃহৎ পরিবর্তন আনা সম্ভব৷ ছোট প্রকল্প বা আইডিয়াগুলোকে বের করার মাধ্যমেই বড় বড় প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে৷ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন হবে উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা৷ শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন—এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় ঘটিয়ে স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে৷

ডিএসই’র চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে যে ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে। সেখানে আমরা সমগ্র বিশ্বকে দেখাতে চাই, বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে ও উন্নয়নে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ আজ চিন্তা করছে, কীভাবে উন্নত বিশ্বের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো যায়৷

এনটি/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়