ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

জেড ক্যাটাগরি

উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার লেনেদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ক্ষেত্রে এই শর্ত শিথিল থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে উৎপাদন বন্ধ থাকা ও দুর্বল মৌলের কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি করেছে।

নির্দেশনা অনুসারে, কোনো জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করতে পারবেন না। তারা তাদের নামে থাকা ওই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না এবং কিনতেও পারবেন না। শুধু শেয়ার বিক্রি নয়, জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডাররা তার শেয়ার অন্য কারো নামে স্থানান্তরও করতে পারেন না। তবে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

নির্দেশনায় কয়েকটি ব্যর্থতার জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে দ্রুত ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হলে তাকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। একইসাথে টানা দুবছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। তবে এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোন আইনি প্রক্রিয়া থাকে তাহলে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া, উৎপাদনহীন কোম্পানি নিয়েও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এখন থেকে কোন কোম্পানি টানা ৬ মাস তার কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকলে বা উৎপাদন বন্ধ রাখলে সেটিকেও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি কোনো কোম্পানির টানা দুই বছর ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক আসলে এবং পরিশোধিত মূলধনের থেকে ঋণ বেশি হলে তাকেও স্থান দেওয়া হবে জেড ক্যাটাগরিতে।

কোনো কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন, বিধি-বিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ কিংবা নির্দেশাবলী পালনে ব্যর্থ হলে বা অসম্মতি জানালে সেটিকেও কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।

এদিকে কোম্পানির (ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া) ক্যাটাগরি পরিবর্তনে মুনাফার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ (বোনাস ছাড়া) ঘোষণাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

নতুন এই নির্দেশনার ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লেনদেনের নিষ্পত্তি) প্রবিধান, ২০১৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লেনদেনের নিষ্পত্তি) প্রবিধান, ২০১৩ এর প্রবিধান নং ৫(২) এর বিধানগুলি রহিত হবে। এসব বিধানের জায়গায় নতুন ওই নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের নতুন এ নির্দেশনা পরবর্তী লভ্যাংশ থেকে কার্যকর হবে।

/এনটি/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়