ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১০ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

‘অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনা জরুরি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১২, ৯ অক্টোবর ২০২৪  
‘অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনা জরুরি’

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, আমাদের পুঁজিবাজারের ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি খুবই কম। ৩০ বছর আগে যেসব কোম্পানি ভালো ছিল, বর্তমানে তা দুর্বল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এসব কোম্পানি যদি বাদ দিই, তাহলে আমাদের পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি অনেক কম। ধীরে ধীরে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির পরিমাণ কমে আসছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনা জরুরি।

বুধাবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের স্থিতিস্থাপকতার মূল বিষয়গুলি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু আহমেদ বলেন, আমি অনুরোধ করব সরকার এবং তার ফাংশনিয়ারকে, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা যেন বাড়ানো হয়। মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি ছাড়া ভালো পুঁজিবাজার আশা করা যায় না। ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে কিছু ইনসেন্টিভ থাকা উচিত। এতে কাজ হবে।

তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সব খাতেই বড় বড় কিছু গ্যাপ রয়েছে। দেশকে, পুঁজিবাজারকে এবং বিনিয়োগকারীদেরকে কিছু দিতে হলে, ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে হবে। বড় এবং ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে নেই। তাদেরকে জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বাজারে আসতে হবে। জনগণের স্বার্থই হলো সবথেকে বড়।

আইসিবি’র চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসই’র সময় হয়েছে হারানো লিডারশিপ ফিরে পাওয়ার। আপনারা শক্ত হোন। পাশের দেশ ভারতের পুঁজিবাজার থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। কেন? আপনারা শাউট করুন। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টার কাছে আপনাদের প্রস্তাবনা নিয়ে যান। ডিএসই ও সিএসইকে কাজ করার ক্ষমতা দিতে হবে। কোম্পানিগুলো কী করছে, তা দেখভালের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জর। এতদিন ডিএসই ও সিএসই’র ক্ষমতা সঙ্কুচিত করে রাখা হয়েছে। কোম্পানিগুলো কী করছে, তা দেখার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমতি কেন নেওয়া লাগবে? এটা তো স্টক এক্সচেঞ্জের কাজের বেসিক ফাংশন। স্টক এক্সচেঞ্জের অধীনেই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত; বিশেষ করে, আইপিওসহ অন্যান্য ক্যাপিটাল রাইজিং (মূলধন বাড়ানো) সংক্রান্ত বিষয়গুলো। এসব বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রহণযোগ্য মতামত দিতে পারে।

আইসিবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইসিবির মতো একটা রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে আমাকে দেওয়া হয়েছে। এখানে আমার প্রতিদিন চা খাওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। কারণ, আইসিবি’র কিছুই নেই। আমি এগুলো এখনই বলে রাখছি। কারণ, পরে আপনারা আমার থেকে জানতে চাইবেন, আইসিবির চেয়ারপার্সন হিসেবে আমার অর্জন কী? বিগত বছরে আইসিবির পারফর্ম্যান্স এতই খারাপ যে, যে শেয়ার তারা ৮০ টাকায় কিনেছে, সেই শেয়ার আমি ১০ টাকাতেও কিনতাম না।

হাইব্রিড সিস্টেমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং ডিবিএ’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এবং সিএসই’র চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম সাত্বিক আহমেদ শাহ, ডিবিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ, বিআইবিএমের প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যংকিং সুপারভিশনের সাবেক সহকারী পরিচালক সাবেথ সিদ্দিক এবং ডিএসই’র জিএম ও সিওও মো. সামিউল ইসলাম।

এনটি/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়