নির্ধারিত সফটওয়্যার ছাড়া ১ মে থেকে লেনদেন বন্ধ
ট্রেকহোল্ডারদের জন্য অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার স্থাপন, বাস্তবায়ন ও ব্যবহারের সময়সীমা কিছুটা বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী বছরের ১ মে থেকে সফটওয়্যার স্থাপন ও ব্যবহার শুরু করতে না পারলে লেনদেনে অংশ নেওয়ার সুযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আর ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেবে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির এই নির্দেশনার বিষয়টি সব ট্রেকহোল্ডারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, নির্ধারিত অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বিএসইসি নতুন সময় বেঁধে দিয়েছে। বিএসইসির সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে, এই সফটওয়্যার স্থাপন ও ব্যবহার শুরুর জন্য আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাবে ট্রেকহোল্ডাররা। তবে এরপর এই সফটওয়্যার ছাড়া কোনো ট্রেকহোল্ডার লেনদেন পরিচালনা করতে পারবে না।
এদিকে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ট্রেকহোল্ডারের অফিসে বিএসইসির প্যানেলভুক্ত ভেন্ডরের অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার স্থাপন ও ব্যবহার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু নানা কারণে অনেক ট্রেকহোল্ডারের পক্ষে এটি সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছিল। তার প্রেক্ষিতে বিএসইসি আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে।
পাশাপাশি বিএসইসির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না। এই সময়ের মধ্যে কোনো স্টক-ব্রোকার ও স্টক-ডিলার অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার স্থাপন ও ব্যবহার শুরু করতে না পারলে ১ মে ওই প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে অংশ নেওয়ার সুযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারের ৮টি ভেন্ডর প্যানেলভুক্ত আছে। অসংশোধনযোগ্য ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার স্থাপন, বাস্তবায়ন ও ব্যবহার শুরুর একই শর্ত দেশের অপর স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির জন্যও প্রযোজ্য।
ঢাকা/এনটি/এনএইচ