‘বিএসইসির একার পক্ষে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, “পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা যদি তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করেন, তাহলে বিএসইসির একার পক্ষে পুঁজিবাজার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আমাদের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আমরা আমাদের ট্রান্সফোর্স-এর সামনে রেখেছি। আমরা নিজেরা সব কিছু করার চেষ্টা করছি না। রাষ্ট্রের যে সংস্কার হচ্ছে তার অংশ হিসেবে আমরা কাজ করছি।”
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে ডিএসই টাওয়ারে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়নের রোডম্যাপ বিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে আইপিও সহজ করা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, মার্জিন লোন সংশোধন এবং নেগেটিভিটি নিয়ে কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “বিএসইসির মূল কাজ হওয়া উচিত দীর্ঘমেয়াদি পলিসি প্রণয়ন এবং এর প্রয়োগ। ঠিক সেটাতেই আমরা মনোনিবেশ করতে করছি।”
তিনি বলেন, “গত চার মাসে আমরা বাজারে ইন্টারমিডিয়ারিজদের হস্তক্ষেপ করিনি। বরং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছি। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ‘দ্য স্কোপ অব দ্য রোল অব দ্য ক্যাপিটাল মার্কেট’ বাস্তবায়ন করতে চাই। একটা কোম্পানি ফাইন্যান্সিং-এ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে, কতটা মানি মার্কেটে থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে, আর কতটা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে, সেই বিষয়টার স্টাকচারটা এখনো তৈরি হয়নি। মানি মার্কেটের স্ট্যাবিলিটির জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আমরা আলোচনা করছি। একটা কোম্পানির লংটার্ম ফাইন্যান্সিং প্রয়োজন হলে, সেটি পুঁজিবাজার থেকে নিতে হবে। এই কাজ করতে পারলে আমাদের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।”
এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সের জন্য এক্সটা কস্ট থাকবে, সেটার জন্য নন-লিস্টেড কোম্পানির সাথে ট্যাক্স ডিফারেন্সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ব্যাপারে এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিএসইসি, ইডরা, এফআরসি, আইসিবিসহ সংশ্লিষ্ট স্ট্যাকহোল্ডাররা যদি একটা সিংক্রোনাইজেশনের মধ্যে না চলে, ক্যাপিটাল মার্কেট বা মানি মার্কেট কোনটাই সঠিকভাবে কার্যকর হবে না।
ঢাকা/এনটি/এসবি