‘১৫ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জকে অকার্যকর করা হয়েছে’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিসফাংশনাল (অকার্যকর) করা হয়েছে। যার হাতিয়ার হিসেবে ছিল ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম ও ডিমিউচ্যুয়ারাইজেশন এ্যাক্ট। যখন এটা করা হয় তখন বলা হয়েছিল ৫ বছর পর এটা রিভিউ করা হবে। কিন্তু আজকে ১০ বছরের উপরে হয়ে গেছে, কিন্তু এই আইনের কোনো রিভিউ করা হয়নি। আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করবো এই ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনটা রিভিউ করার জন্য।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়নের রোডম্যাপ বিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ৷
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম৷ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি’র শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ। যার ট্রেড ভলিউম ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা। তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর কোন মূল্য থাকে না।”
তিনি বলেন, “বাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে স্বচ্ছতার অভাব, জবাবদিহিতার অভাব, বিনিয়োগযোগ্য সিকিউরিটিজের অভাব। এখানে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ থেকে ২০ টার বেশি সিকিউরিটিজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর একটা বিষয় হচ্ছে প্রয়োজনের বেশি মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিএসইসিকে একটা উচ্চ পর্যায়ের পলিসি মেকার হিসেবে দেখতে চাই। বিশ্বে অন্যান্য দেশে যেমন আমেরিকা, জাপান, চীন ইন্টারমিডিয়ারিজদের দিয়ে একটা অর্গানাইজেশন গঠন করা হয়েছে। ফিসকাল এবং মনিটরিং পলিসির ক্ষেত্রে বিএসইসি’র সময় অনেক বেশি লাগে। এক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের যদি আমরা ফাংশনাল করতে পারি, তাহলে এই কাজগুলো স্টক এক্সচেঞ্জই করতে পারে।”
ইন্ডিয়াতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কেট ক্যাপ সাপ্লাই চেইনের কারণে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তাদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে তালিকাভুক্ত করতে পেরেছেন। বর্তমানে আমাদের দেশের মাল্টন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার একটা সুযোগ রয়েছে। যা কোন পলিটিক্যাল গভর্নমেন্ট দ্বারা আদায় করা প্রায় অসম্ভব। তাই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ সরকারের কাছে যে শেয়ারগুলো রয়েছে, তা পুঁজিবাজারে আনার এখনই উপযুক্ত সময়। যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ঢাকা/এনটি/ইভা