ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘আমি নির্দোষ, কে কী করেছে জানি না’

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আমি নির্দোষ, কে কী করেছে জানি না’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষায় মিশকাতুল জান্নাত নামে এক ভর্তিচ্ছুর প্রথম হওয়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়।

মিশকাতুল জান্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারীর আপন ছোট বোন। এ নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলে সকল ধরনের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে প্রায় ৫০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা।

নিজের ছোট বোন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারী ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে সরাসরি কীভাবে জড়িত থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে কথা তুলেছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষায় জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে একেবারে নতুন এবং জুনিয়র শিক্ষকদের ইউনিট সমন্বয়ক বানানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র মডারেশন এমনকি ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে নেয়া লাগে, সে বিষয়ে জানেন না বলেও অভিযোগ করছেন সেই অনুষদের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিশকাতুল জান্নাত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ১৯ নভেম্বর সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ করলে, এতে ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন জান্নাত। তার নম্বরের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মিশকাতুল জান্নাত এমসিকিউয়ে ৮০ এর মধ্যে ৬৭.২৫০ পেয়েছেন। যা অন্য কোনো ইউনিটে আর কেউ পায়নি। তার ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার রোল ২৪০২৭৮। অথচ ‘এ’ এবং এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেন এই ভর্তিচ্ছু।

ইমরানা বারীর সাথে গত তিন দিনে মুঠোফোনে এবং তার অফিস কক্ষেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক সোহেলা মুসতারীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নির্দোষ এবং কে কী করেছে, তা তিনি জানেন না বলে কথা না বলেই স্থান ত্যাগ করেন।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘দুটি ইউনিটে ফেল এবং একটি ইউনিটে অস্বাভাবিক পরিমাণ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আসলে বিব্রতবোধ করছি। বিষয়টা যেহেতু ইউনিটের, সেহেতু বিষয়টা ইউনিট সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করি।’

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচীব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘শিক্ষকদের অভিযোগপত্র পেয়েছি। উপাচার্য দেশের বাইরে আছেন। তাকে বিষয়টি জানানো হবে। তিনি কী সিদ্ধান্ত নিবেন, সে ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


বেরোবি/নবাব শরীয়তুল্লাহ/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়