জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ
স্নাতকোত্তর কোর্স না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
শোয়েব হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ
জেলা সংবাদদাতা
জামালপুর, ১৩ অক্টোবর: স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) কোর্স চালু না থাকায় সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের দশটি বিভাগের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা থেকে।
কলেজে মোট ১৪টি বিভাগে অনার্স কোর্স চালু থাকলেও মাস্টার্স কোর্স চালু আছে শুধু বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে। বাকী ১০টি বিভাগে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়নি। বিভাগগুলো হল- ইংরেজী, দর্শন, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলাম শিক্ষা, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণীবিজ্ঞান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ৮টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার জন্য প্রেরণ করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিবেচনা করে, কলেজটি পরিদর্শন করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়।
চিঠি পাওয়ার ২ থেকে ৩ মাস পর প্রতি বিষয়ের পরিদর্শন ফি পাঁচ হাজার (৫,০০০) টাকা করে মোট চল্লিশ হাজার (৪০,০০০) টাকা এবং সরকার দলীয় হুইপ ও সাংসদ মির্জা আজম এবং স্থানীয় মন্ত্রী জনাব রেজাউল করিম হীরা এমপি. এর সুপারিশ সহ যাবতীয় তথ্যাবলী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।
এসব তথ্য পাওয়ার পর কাম্য সংখ্যক শিক্ষক না থাকায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে পরিদর্শন দল পাঠানো হয়নি। এছাড়াও কলেজে বিভিন্ন বিভাগে নতুন ১১০টি পদ সৃষ্টির জন্য আবেদন করা হলে ১৩ টি পদের অনুমোদন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণাল। যা অর্থমন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এরপর, প্রতি বিভাগে খণ্ডকালীন অতিথি শিক্ষক দেখিয়ে পুনরায় আবেদন করা হয়। কিন্তু এরপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্স কোর্স চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা অনার্স (সম্মান) চূড়ান্ত বর্ষের এক হাজার ৩ শত ৩০ শিক্ষার্থী পরীক্ষার পর অন্য কোন কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে এবং আর্থিক অনটনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র ভর্তি হতে পারছে না।
আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থী সুরমা শামীমা জানান, ‘বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে স্নাতক পাশ করেছি। অশেক মাহমুদ কলেজে মাস্টার্স কোর্স না থাকায় মাস্টার্স ভর্তি হতে পারিনি। পারিবারিক বাধার কারণে আন্য কোথাও ভর্তি হওয়া সম্ভব নয়।’
সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, আশেক মাহমুদ কলেজটি জামালপুর ও শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আরও ১০টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালুর জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
রাইজিংবিডি/শোয়েব হোসেন/এলএ
রাইজিংবিডি.কম