প্রাথমিকে টিকা পেয়েছে সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার ৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৮৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৮৫ শতাংশ টিকা পেয়েছেন। এখনো ৫৭ হাজার জন টিকার বাহিরে রয়েছেন। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে তাদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

জানা গেছে, সারাদেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে মোট ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭১২ জন শিক্ষক রয়েছে। আর ১৬ হাজার ৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে ৩ লাখ ১০ হাজার ৩০০ জন দুটি ডোজের টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে এখনো ৫৫ হাজার ৪১২ জন টিকার বাহিরে রয়েছেন। আর ১৬ হাজার ৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১৩ হাজার ৬৬৩ জন টিকা পেয়েছেন। ২ হাজার ৪১১ জন বাদ পড়েছেন। বাদ পড়া অনেকে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও এখানো টিকা পাননি। অনেকে আবার অসুস্থতার কারণে টিকা নিচ্ছেন না।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ টিকার আওতায় এসেছে। এখনো বাকি ১৫ শতাংশ গর্ভবর্তী, অসুস্থ ও অন্যান্য জটিলতার কারণে তারা টিকা নেয়নি। তবে এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবাই টিকা নিতে পারবে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের আগে প্রাথমিক শিক্ষার শতভাগ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

এদিকে গতকাল রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

শুরুতে চলতি ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন আর অন্যান্য স্তরের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহের শুরুতে একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এজন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ১৯ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।