‘শিক্ষকের মর্যাদা নষ্ট হলে সম্মিলিত আন্দোলন’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘কেউ যেন শিক্ষকের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতো ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। ভবিষ্যতে এরকম কোনো কাজে কেউ নিজেকে সম্পৃক্ত করলে প্রয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গোটা পরিবারকে সাথে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। একটি আদর্শনিষ্ঠ সমাজব্যবস্থায় এরূপ অন্যায্য ও রুচিবহির্ভূত কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
শনিবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এসব কথা বলেন উপাচার্য। তিনি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেটের চেয়ারম্যান ও ভাইস চ্যান্সেলর ড. মশিউর রহমান।
সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণে ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জিং কাজ। একই সঙ্গে একথাও সত্য যে, এ কাজটি সুচারুরূপে করা সম্ভব হলে দেশ ও সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কার্যকর পর্ষদ। যার মাধ্যমে আপনাদের পরামর্শ, সহযোগিতা, দিকনির্দেশনা পাওয়া সম্ভব। নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে কাজ করা আমাদের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু কতগুলো বিষয় হয়ে ওঠে দুঃখজনক এবং অতীব পরিতাপের, যেমনটি সম্প্রতি ঘটেছে নড়াইল, সাভার এবং রাজশাহীর তিনটি কলেজে।’
‘আমি অত্যন্ত বেদনা, দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে এই অভিব্যক্তিই প্রকাশ করতে চাই, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আইন এবং আমাদের সমাজের প্রচলিত আদর্শকে লঙ্ঘন করে কেউ যেন শিক্ষকদের মর্যাদা নষ্ট না করে।’
তিনি বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কা যখন কোভিড ভয়াবহতার নতুন পৃথিবীতে সংকটে নিমজ্জিত এবং এক অনিশ্চয়তার পথে হাঁটছে, বাংলাদেশ তখন আস্থার সেতুর উদ্বোধনসহ নানা মেগা প্রজেক্ট নিয়ে এগিয়ে চলছে। তবুও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৃচ্ছ্রতাসাধন নিশ্চিত করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগুতে হবে, যেন বাংলাদেশকে অন্য কোনো পক্ষ ব্যর্থতার গ্লানিতে ফেলতে না পারে।’
ইয়ামিন/রফিক