আইবাস প্লাস সিস্টেম আপডেটের বিষয়ে যা জানালেন প্রাথমিকের ডিজি
![আইবাস প্লাস সিস্টেম আপডেটের বিষয়ে যা জানালেন প্রাথমিকের ডিজি আইবাস প্লাস সিস্টেম আপডেটের বিষয়ে যা জানালেন প্রাথমিকের ডিজি](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023August/primary-Education-2308201005.jpg)
অনলাইন বেতন নির্ধারণী আইবাস প্লাস সিস্টেম থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অপশন বাদ দিয়ে নতুন করে অনলাইন বেতন নির্ধারণী সিস্টেম আপডেট করার দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। তারা এটি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন।
রোববার (২০ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত সবকিছু আপডেট হচ্ছে। এটা একটা সরকারি অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে বেতন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলে। আমি আজকেই আইবাস প্লাস সিস্টেম এর সঙ্গে যারা নিয়োজিত আছে তাদের সঙ্গে কথা বলব।
তিনি বলেন, এটি সরকারের পদ্ধতিগত একটি প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতির কারণে প্রাথমিকের কোন শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা কখনো চাইবো না। সিস্টেম চালু করা হয়েছে মূলত কাজ সহজ করার জন্য। আমরা আরো নতুন আপডেট পদ্ধতিতে যাবো। আমি আজই আইবাস প্লাস সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
এদিকে, আইবাস প্লাস সিস্টেম আপডেট করার জন্য ২০১৫ সালের আগে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পক্ষে চিঠি দিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেল নিম্নধাপে হওয়ায় মূল বেতন কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষকরা। গত ২৩ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিইনএড/ডিপিএড প্রশিক্ষণগ্রহণকারী সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সে চিঠি প্রেরণ করা হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, ওই পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্ট জারিকৃত একটি পত্রের স্মারক নং উল্লেখ করে ঘ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য বলে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন সাল উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু অনলাইন বেতন নির্ধারণী সিস্টেম অপশনে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অপশন সন্নিবেশ করায় শুধুমাত্র ২০১৫ সালের পে স্কেলের পর যারা প্রশিক্ষণগ্রহণ করেছে তাদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।
শিক্ষকদের দাবি, ২০১৫ সালের আগে যারা সিইনএড প্রশিক্ষণগ্রহণ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পত্রে সালে উল্লেখপূর্বক কোনো নির্দেশনা নাই। তাই অনলাইন বেতন নির্ধারণী ibass++ সিস্টেমের অপশন থেকে ২০১৫ সাল বাদ দিতে হবে। তাহলে সিইনএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেল নিম্নধাপে হওয়ার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ উচ্চধাপে করা সম্ভব হবে।
/ইয়ামিন/এসবি/
আরো পড়ুন