ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পদোন্নতির জটিলতা নিরসন, নতুন পদ সৃষ্টি, পে স্কেল সমস্যার সমাধানসহ শিক্ষা ক্যাডারে নানা বৈষম্য দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেছেন, পদোন্নতিতে জটিলতা, নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, অর্জিত ছুটি না দেওয়া, নতুন পে স্কেলের সমস্যা সমাধান না হওয়াসহ নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আগেও আমরা ৮১ দিন পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে, আমরা শিক্ষায় কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে চাই না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জনবলের ব্যাপক ঘাটতি আছে। শিক্ষা ক্যাডারে প্রাপ্যতা অনুযায়ী কখনও পদ সৃজন করা হয়নি। ২০১৪ সালে ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দীর্ঘ ৯ বছরেও এ পদগুলো সৃজন হয়নি। ফলে, দিন দিন বাড়ছে শিক্ষক সঙ্কট। এর প্রভাব পড়ছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায়। কারণ, শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।

দ্রুত শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন করার দাবি জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, অন্যান্য ক্যাডারে চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে তা দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই একই পদে ৮ থেকে ১৩ বছর ধরে কর্মরত। পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সামাজিকভাবে অমর্যাদাকর অবস্থায় পড়ছেন। তাই, পদ সৃজন না হলে সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি জানাই।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হলেও বিশেষায়িত পেশা হিসেবে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে গড়ে তোলা হয়নি। উপরন্তু, এ পেশাকে গ্রাস করছে অনভিজ্ঞ অপেশাদার। শিক্ষা ক্যাডারকে অবকাশমুক্ত করা জরুরি। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা ছুটির ফাঁদে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ভোগ করে। আবার বছরে ৫৫ দিন অবকাশকালীন ছুটি ভোগ করে। তাতে বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে। অন্যদিকে, অর্জিত ছুটি পাওয়ার পক্ষে জোরালো যু্ক্তি থাকার পরও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

ইয়ামিন/রফিক 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়