ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এই কি সেই বৈশাখ, প্রশ্ন জয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এই কি সেই বৈশাখ, প্রশ্ন জয়ার

পয়লা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিনটি ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। সব আয়োজন ম্লান করে দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। পৃথিবীর যে প্রান্তেই অবস্থান করুন না কেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে ছুটে আসেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

দুই বাংলার প্রিয় মুখ জয়া আহসান বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, বাংলাদেশের প্রাণস্পন্দন যদি অনুভব করতে চাও, তবে পয়লা বৈশাখে ঢাকায় এসো। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে গানে গানে নববর্ষবরণ। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্তের গানে ভরে ওঠে চারপাশ। ভোর দিনের দিকে গড়ায়, আর পথ হতে থাকে লোকারণ্য। আক্ষরিক অর্থেই লোকের অরণ্য। জনস্রোতে একের পর এক রাজপথ হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র। গাড়ি আটকে যায়। গ্রামগঞ্জ থেকে আসা কারুশিল্পীদের হাটও ততক্ষণে বসে গিয়েছে পথে পথে। কিন্তু এই কি সেই বৈশাখ? করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্ব যখন অসহায়ের মতো কাঁপছে, বাংলায় তখন বৈশাখ এসেছে পা টিপে টিপে। সেখানে মিলনের ডাক নেই, বরং বিচ্ছিন্ন হওয়ার আহ্বান। ঘরে ঘরে নির্জনবাসই এখন নিজে বাঁচার উপায়, অন্যকে বাঁচানোরও পথ।’

করোনার আগ্রাসী আক্রমণে চিন্তিত জয়া। পৃথিবী কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে তার মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘করোনার কামড় অনেক গভীরে পৌঁছবে বলে আমার বুক দুরুদুরু করছে। সংক্রমণের ভয় কাটিয়ে কত দিন পর মানুষের মনে আস্থা ফিরে আসবে? কলরবে ভরে উঠবে শুটিংয়ের লোকেশনগুলো? সচল হবে ক্যামেরা? ছবি দেখার জন্য গমগমে ভিড় করে মানুষ সিনেমা হলে উপচে পড়বে? সামনে নাকি ওৎ পেতে আছে দুনিয়াজোড়া অর্থনীতির সঙ্কট। তার ঝাপ্টার সামনে চলচ্চিত্রশিল্প দম নিয়ে শক্ত পায়ে দাঁড়াতে পারবে তো? ভালোবাসার এই শিল্পমাধ্যমটির জন্য হাহাকার করছে বুক।’

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়