ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঝরে পড়া তারা

আলো জ্বেলে অন্তরালে, অর্থকষ্টে পৃথিবী ছাড়লেন নায়িকা

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৪ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আলো জ্বেলে অন্তরালে, অর্থকষ্টে পৃথিবী ছাড়লেন নায়িকা

প্রতিবছর চলচ্চিত্রে নতুন নতুন মুখের আগমন ঘটে। বছর ঘুরতেই তাদের অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ কেউ নিজ গুণে টিকতে পারেন, আবার কেউ কেউ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান৷ আবার দু’ একজন পাড়ি জমান পরপারে। ঝরে পড়া এসব তারাদের নিয়ে রাইজিংবিডির বিশেষ আয়োজন। আজ চতুর্থ পর্বে থাকছেন চিত্রনায়িকা জবা।

১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ‘জিঘাংসা’ নামের সিনেমা। ‘পাখির বাসার মতো দুটি চোখ তোমার, ঠিক যেন নাটোরের বনলতা সেন’ খুরশিদ আলম ও রুনা লায়লার গাওয়া জনপ্রিয় এই গানে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন ওয়াসিম ও জবা চৌধুরী। সত্তরের দশকে মুক্তি পাওয়া ‘জিঘাংসা’ সিনেমাটি সুপারহিট হয়৷ এই সিনেমায় নায়িকা ছিলেন জবা চৌধুরী। প্রথম সিনেমা মুক্তির পরই আলোচনায় আসেন তিনি। তাহের চৌধুরীর প্রযোজনায় ইবনে মিজান পরিচালিত এ সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন—ফতেহ লোহানী, শওকত আকবর, আনোয়ার হোসেন, সুচরিতা, জসীমসহ অনেক গুণী শিল্পী।

পরবর্তীতে এই সিনেমার প্রযোজককে বিয়ে করে সংসারী হন জবা। এর পর অনেক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দেন এই নায়িকা। ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্রে আলোচিত এই নায়িকার আর কোনো খোঁজ ছিল না। একেবারেই অন্তরালে চলে যান তিনি।

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর জবার খোঁজ মিললো মৃত্যুর সংবাদে। অন্তরালে থাকা জবা চৌধুরী গতকাল রোববার একেবারে নীরবেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। দিনাজপুরের রানীর বন্দরের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। দিনাজপুরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে রাইজিংবিডিকে জানান নির্মাতা ছটকু আহমেদ।

দিনাজপুরের রানীর বন্দর এলাকার গছাহার গ্রামে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন জবা। আদর করে মা নাম রেখেছিলেন জোবায়দা খাতুন। সিনেমায় আসার পর নাম বদলে হন জবা চৌধুরী। তাঁর বাবা আফান উদ্দিন ছিলেন একজন নাট্যশিল্পী। জবা চৌধুরীর কোনো সন্তান নেই। তাঁর স্বামী দেড় যুগ আগে মারা যান। জীবনের শেষ সময়ে ভীষণ অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন এই নায়িকা।

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়