ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

মুনমুনের হাত ধরেই শাকিবের প্রথম সাফল্য

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৩, ২৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুনমুনের হাত ধরেই শাকিবের প্রথম সাফল্য

রাহাত সাইফুল : দুই দশক ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ক্যারিয়ারে প্রথম দশ বছর তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তারপর এক সময় সুদর্শন আর অভিনয়-নৈপুণ্যে হয়ে ওঠেন ঢালিউডের ‘কিং খান’। বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়কের তকমাটা দখলে রেখেছেন তিনি।

দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অনেক নায়িকা তার বিপরীতে পর্দায় অভিনয় করেছেন। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে এই নায়ককে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতেও দেখা গেছে। জনপ্রিয় নায়িকাদের সঙ্গে জুটি বাঁধতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন বর্তমান প্রজন্মের নায়িকারা তার সঙ্গে অভিনয় করতে অপেক্ষায় থাকেন। সে-সময়ের জনপ্রিয় নায়িকাদের অনেকেই চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়েছেন। দীর্ঘ বিশ বছরের ক্যরিয়ারে শাকিব খানের নায়িকাদের নিয়ে এই আয়োজন। এর সূচনা পর্বে থাকছেন শাকিব খানের শুরুর দিকের নায়িকা মুনমুন। 

 

 

পর্দায় অভিষেক ইরিন জামানের সঙ্গে হলেও শাকিব প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন কারিশমা শেখের বিপরীতে। ১৯৯৯ সালে চুক্তি হওয়া সিনেমাটির নাম ছিল ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’। যদিও শাকিব খান অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালবাসা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। পরের বছর ২০০০ সালে অভিনয় করেন ‘গোলাম’, ‘আজকের দাপট’, ‘দুজন দুজনার’, ‘বিষে ভরা নাগিন’ সিনেমায়। এর মধ্যে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘বিষে ভরা নাগিন’ ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। এটিই শাকিব খানের প্রথম ব্যবসাসফল সিনেমা। এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মুনমুন।

চিত্রনায়িকা মুনমুনের ১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ সিনেমায় প্রথম কাজ করেন তিনি। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। সে হিসেবে চলচ্চিত্রে শাকিব খানের আগেই মুনমুন প্রতিষ্ঠিত। সে সময় মুনমুন অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। শাকিব খান প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, ‘শাকিব এখন দেশের এক নম্বর হিরো। সেই সময়ের শাকিব আর এখনকার শাকিবের মধ্যে অনেক তফাত। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪টি সিনেমায় কাজ করেছি। এগুলোর মধ্যে নাগিন সিরিজের তিনটি সিনেমা ছিল সুপার বাম্পার হিট।’ তিনি আরো বলেন, ‘শাকিব খুবই ভালো একজন মানুষ। কাজ সে খুব ভালোবাসে। কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কারণেই সে এতদূর আসতে পেরেছে। সহশিল্পীদের কাজের ক্ষেত্রেও সে সহযোগিতা করে।’

 

 

মুনমুনের বিপরীতে নাগিন সিরিজের সিনেমা তিনটি হলো ‘বিষে ভরা নাগিন’, ‘দুই নাগিন’, ‘বিষাক্ত নাগিন’। এই নায়িকার বিপরীতে শাকিব খানকে ‘জানের জান’, আনোয়ার চৌধুরী জীবন পরিচালিত ‘পাগলা বাবা’, সৈয়দ মুখলেসুর রহমান পরিচালিত ‘নাটের গুরু’, পি এ কাজল পরিচালিত ‘ভণ্ড ওঝা’,  বাদশা পরিচালিত ‘বোবা খুনি’, শাহেদ চৌধুরী পরিচালিত ‘খল নায়িকা’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘স্ত্রীর মর্যাদা’, পি এ কাজল পরিচালিত ‘লাট্টু কসাই’- সব মিলিয়ে ১৪টি সিনেমায় তাদের দেখা গেছে। এবং এসব সিনেমার অধিকাংশই সুপার হিট!

মুনমুনকে নিয়ে কারণে-অকারণে চলচ্চিত্রাঙ্গনে তৈরি হয় সমালোচনা। তিনি তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। চলচ্চিত্র থেকে অনেকটাই দূরে চলে যান। ইতিমধ্যে শাকিব খান জনপ্রিয় হতে শুরু করেন। নতুন অনেক নায়িকার সঙ্গে তার জুটি গড়ে উঠতে থাকে। যদিও নিন্দুকের কথার তীরকে মুনমুন কখনও তোয়াক্কা করেননি। সমালোচনা পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। এখন আবারও নিয়মিত হচ্ছেন চলচ্চিত্রে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে- যার হাত ধরে চলচ্চিত্রে শাকিবের প্রথম জনপ্রিয়তা তাকে তিনি কতটা মনে রেখেছেন?    


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৯/রাহাত/তারা

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়