ঢাকা     শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

সোহেল রানাকে দেশের মাটিও চেনে: ফারুক

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সোহেল রানাকে দেশের মাটিও চেনে: ফারুক

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ উপলক্ষে সকাল থেকেই বিএফডিসিতে তারকাদের আনাগোনা দেখা যায়। আজ বিকাল ৩টায় ভোট দিতে আসেন চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। এ সময় তিনি বলেন, ‘শিল্পীরা কখনো হারে না, জিতেও না।’

এফডিসির নিরাপত্তা নিয়ে ফারুক বলেন, ‘ভোট দিতে এসে উৎসবমুখর পরিবেশ পেয়েছি। নির্বাচনের জন্য এমন পরিবেশই থাকা উচিৎ।’

নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝে দুই একজন তারকা বিএফডিসিতে প্রবেশের সময় বিড়ম্বনার শিকার হন। বিষয়টি নিয়ে ফারুক বলেন, ‘কার সঙ্গে কি হয়েছে নির্দিষ্টভাবে আমি শুনিনি, দেখিওনি। তবে সোহেল রানার সঙ্গে যা হয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ তাকে এ দেশের মাটিও চিনে।’

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে কোনো বিভাজন থাকা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে যেই আসুক সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তর্ক-বিতর্ক যদি চলতেই থাকে তাহলে চলচ্চিত্রের এখন যে অবস্থা সেটাও থাকবে না।’

চলচ্চিত্রের ‘মিঞা ভাই’খ্যাত এই নায়ক বলেন, ‘শিল্পীরা কখনো হারে না, আবার জিতেও না। তারা সবসময় একরকম থাকে। সকালে জোয়ার আবার বিকালে ভাটা। এই হলো শিল্পীর জীবন। এটা তো নির্বাচন না, এটা একটা আনন্দ উৎসব। নির্বাচনে জয়ী হয়ে যেই আসুক তাকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। আর যদি সে সাহস না থাকে তাহলে সেটা শিখে নিতে হবে।’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়ছেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।


ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়