ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৫ ১৪৩১

বাগদানের পরও কেন হয়নি অভিষেক-কারিশমার বিয়ে?

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৬ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বাগদানের পরও কেন হয়নি অভিষেক-কারিশমার বিয়ে?

বলিউডে সম্পর্কের ভাঙা-গড়া নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত নতুন সম্পর্ক যেমন তৈরি হচ্ছে, আবার সম্পর্ক ভাঙছে। তবে কিছু প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে।

বলিউডের আলোচিত সম্পর্কের মধ্যে একটি অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের প্রেম। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর এই জুটির বাগদানও হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। কিন্তু কেন তাদের বিয়ে হলো না তার প্রকৃত কারণ এখনো আড়ালেই থেকে গেছে।

বলিউডের দুই প্রভাবশালী পরিবার বচ্চন ও কাপুর। রাজ কাপুরের নাতি নিখিল নন্দা বিয়ে করেন অমিতাভের মেয়ে শ্বেতা বচ্চনকে। সেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিখিল-শ্বেতার বিয়ে হয় ১৯৯৭ সালে। ধারণা করা হয়, সেই বিয়েতেই অভিষেক-কারিশমার ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। এরপর তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর দুজনের প্রেম নিয়ে কানাকানি শুরু হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে তাদের বিয়ের গুঞ্জন।
 

 অমিতাভকে নিয়ে স্ত্রী জয়ার লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সেদিন বচ্চন পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কারিশমা কাপুর 

অমিতাভের ৬০তম জন্মদিনে অভিষেক-কারিশমার বাগদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। জন্মদিনে অমিতাভকে নিয়ে স্ত্রী জয়ার লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সেদিন বচ্চন পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কারিশমা কাপুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে কারিশমাকে হবু বউমা সম্বোধন করে মঞ্চে ডাকেন জয়া বচ্চন। শুধু তাই নয়, জয়া বলেছিলেন, ‘এই জন্মদিনে কারিশমা হচ্ছে বাবাকে দেওয়া অভিষেকের উপহার।’

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, বিয়ে করছেন না এই জুটি। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনেক কথাই রটেছে। সবচেয়ে বেশি যেটি শোনা গেছে, অভিষেক-কারিশমার বিচ্ছেদের জন্য দায়ী ছিলেন কারিশমার মা ববিতা। কিন্তু কী কারণে তাদের বাগদান হয়েও বিয়ে হয়নি তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে কারিশমা ছিলেন সফল অভিনেত্রী। তার নামের পাশে ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর তকমা। অন্যদিকে অভিষেকের পরিচয় তিনি অমিতাভ বচ্চনের ছেলে। তাই অভিষেকের ওপর ঠিক ভরসা করতে পারেননি ববিতা। রণধীর কাপুরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর দুই মেয়েকে অনেক কষ্টে লালন পালন করেন। তাই অর্থ, নিরাপদ আশ্রয় ও মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। 

২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন কারিশমা

এছাড়া ওই সময় বচ্চন পরিবার কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় ঋণ নিতে হয়। তাই বিয়ের আগেই মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে কিছু শর্ত জুড়ে দেন ববিতা। এর মধ্যে ছিল অমিতাভের সম্পত্তির কিছু অংশ অভিষেকের নামে লিখে দেওয়া। কিন্তু অমিতাভ এতে রাজি হননি। তাই বিয়েটাও ভেস্তে যায়।

যদিও এক সাক্ষাৎকারে অভিষেকের মা জয়া বচ্চন জানান, অভিষেক-কারিশমার সম্পর্কে ভাঙনের জন্য দুই পরিবারের কেউ-ই দায়ী নয়, বরং অভিষেক নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে এ নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা চলতেই থাকে। দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে ধারণা করা হয়, অভিষেকের জীবনে জয়া বচ্চনের খবরদারি, বচ্চন পরিবার থেকে কারিশমাকে অভিনয়ে নিরুৎসাহীত করা ও কারিশমার জীবনে তার মায়ের হস্তক্ষেপ এই জুটির সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ। মূলত, পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়েই নিজেদের ভালোবাসাকে কোরবানি দিয়ে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এরপর ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন কারিশমা। তবে তার এই সম্পর্কও টেকেনি। ২০১৪ সালে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এই দম্পতির দুই সন্তান সামাইরা এবং কিয়ান তাদের মা কারিশমা কাপুরের সঙ্গেই থাকছেন। অনেকদিন থেকেই গুঞ্জন, প্রেমিক সন্দ্বীপ তোশনিওয়ালকে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন কারিশমা। সন্দ্বীপ একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সিইও।

বিয়ের পিঁড়িতে ঐশ্বরিয়া রাই এবং অভিষেক বচ্চন

অন্যদিকে ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ঐশ্বরিয়া রাই এবং অভিষেক বচ্চন। বলিউডের আলোচিত বিয়ের মধ্যে একটি এ জুটির বিয়ে। শোনা যায়, অ্যাশ এবং অভিষেক গুরু সিনেমার শুটিয়ের সময় একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন। বর্তমানে বেশ সুখেই কাটছে তাদের সংসার। এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে আরাধ্য।

 

ঢাকা/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়