অনির্বাণের বিয়ে: সৃজিতের মন খারাপ, মিথিলার দুষ্টুমি

প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন টলিউড অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। চলতি মাসেই ছোট পরিসরে সম্পন্ন হবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। প্রিয় অভিনেতার বিয়ের খবরে অনেক নারী ভক্তের হৃদয় ভেঙেছে। শুধু তাই নয়, এই অভিনেতার বিয়ের খবরে মন খারাপ টলিউড নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিরও। অন্যদিকে সৃজিতের স্ত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা অভিনন্দন জানিয়েছেন অনির্বাণকে।

বিষয়টি খোলাসা করা যাক। তার আগে জানিয়ে রাখি, সৃজিতের পরিচালনায় অনির্বাণ ২০১৮ সালে প্রথম ‘ঊমা’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এরপর গত দুই বছরে এই নির্মাতার সঙ্গে ৬টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। কিন্তু তারপরও সৃজিতের মন খারাপ কেন?

মূল ঘটনা হলো—অনির্বাণের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তার ভক্তরা মিম তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। এসব মিমে ব্যথিত নারীদের দেখা যায়। আরো দেখা গেছে তাদের সঙ্গে মন খারাপ করে বসে আসেন সৃজিত। মিমে লেখা রয়েছে—‘অনির্বাণদার বিয়ের খবর নিতে না পারা কয়েকজন।’ কিন্তু এখানে সৃজিত মুখার্জির ছবি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সেই প্রশ্নের কোনো জবাব মেলেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অনির্বাণের সঙ্গে কর্মসূত্রে ভালো সম্পর্ক রয়েছে সৃজিতের। দু’জন বন্ধুর মতোই। বিয়ের পর বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক কতটা থাকবে এটা ভেবেই হয়তো সৃজিতের মন খারাপ। 

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া মিমটি মিথিলা টুইটারে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন—‘অভিনন্দন অনির্বাণ।’ মিমে স্বামীর মন খারাপের ছবি নিশ্চয়ই মিথিলার দৃষ্টি এড়ায়নি। অনির্বাণকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মজা করার জন্যই তিনি মিমটি পোস্ট করেছেন এমনটাই ভক্তদের ধারণা। 

বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অনির্বাণ। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে তা থেমে যায়। কবে এবং কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তা নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশা এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর অনির্বাণ ভট্টার্যের বিয়ে। কনে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা মধুরিমা গোস্বামী। তিনি নাট‌্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত। অনির্বাণ-মধুরিমা একসঙ্গে বেশ কিছু নাট‌্য-প্রযোজনা করেছেন। মধুরিমার বেড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। তার বাবা পদ্মশ্রীখ‌্যাত মূকাভিনয়-শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামী। মধুরিমা পড়াশোনাও করেছেন থিয়েটার নিয়ে।

প্রকাশ্যে এসেছে অনির্বাণ-মধুরিমার বিয়ের দাওয়াতপত্র। অনির্বাণ গৎবাঁধা জীবন ও চিন্তা লালন করেন না। স্বাভাবিকভাবে প্রথা ভেঙে বিয়েটাও করতে যাচ্ছেন তিনি।নিমন্ত্রণপত্রে রয়েছে তার স্বাক্ষর। মন্ত্র পড়ে বিয়ের পর্ব শেষ করছেন না তিনি। নিমন্ত্রণপত্রে লেখা রয়েছে—‘ওই সময়টা বাঁচিয়ে আমরা গল্প-গান-মজা-খাওয়াদাওয়া করব।’ আগামী ২৬ নভেম্বর সল্টলেকে ন‌্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে ছোট্ট এবং ঘরোয়া আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে অনির্বাণ-মধুরিমার বিয়ে।