ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

যে কারণে পরিণতি পায়নি দিলীপ কুমার-মধুবালার প্রেম

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫২, ১১ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৩:১৮, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
যে কারণে পরিণতি পায়নি দিলীপ কুমার-মধুবালার প্রেম

বলিউডের ‘ট্র্যাজিডি কিং’ হিসেবে পরিচিত অভিনেতা দিলীপ কুমার। দীর্ঘ ছয় দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ১১ ডিসেম্বর এই অভিনেতার জন্মদিন। ৯৯ বছরে পা রাখলেন এই অভিনেতা।

সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনায় ছিলেন দিলীপ কুমার। অভিনেত্রী মধুবালার সঙ্গে তার প্রেম নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চা কম হয়নি। কিন্তু কী কারণে তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পায়নি তা নিয়ে অনেকেই কৌতূহল প্রকাশ করেন।

মধুবালার সঙ্গে ‘সাংদিল’, ‘‍মুঘল-ই-আজম’সহ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন দিলীপ কুমার। প্রায় নয় বছর প্রেম করেছেন তারা। শোনা যায় বাদগানও সেরেছিলেন। কিন্তু এরপরই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

আরো পড়ুন:

মধুবালার বোন মধুর ভূষণ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “প্রথা অনুযায়ী ওড়না নিয়ে ভাইজানের (দিলীপ কুমার) বোন এসেছিলেন। ভাইজানও পাঠান ছিলেন। আমার বাবা কখনোই আপার (মধুবালার) বিয়েতে অমত করেননি। আমাদের সেই সময় যথেষ্ট অর্থ-সম্পদ ছিল। আপা ও ভাইজানকে দেখে মনে হতো তারা একে অন্যের জন্যই। ভাইজান প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। তিনি আমাকে স্কুলের পোশাকে দেখেছেন। আমরা যারা ছোট ছিলাম তাদেরকেও তিনি ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতেন। তারা লং ড্রাইভে যেতেন অথবা ঘরে একসঙ্গে গল্প করতেন।”

দিলীপ কুমার ও মধুবালার ব্রেকআপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝিতে নয়া দৌড় সিনেমার সময় একটি মামলা চলাকালীন তাদের ব্রেকআপ হয়। গোয়ালিয়রে শুটিং চলছিল। ওই জায়গায় জাবীন জলীল নামের অন্য এক সিনেমার শুটিং চলছিল। সেখানে কিছু লোকজন এক নারীর ওপর হামলা করে। এমনকি তার পোশাকও ছিঁড়ে দেয়। আমার বাবা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং লোকেশন পরিবর্তন করতে বলেন। এমন নয় যে তিনি আপাকে বাইরে শুটিং করতে দিতেন না। এর আগে মহেশ্বর, হায়দরাবাদ এবং অন্য স্থানে তিনি শুটিং করেছেন। ভাইজান আদালতে বাবাকে ‘ডিকটেটর’ সম্বোধন করেন এবং বিআর চোপড়ার পক্ষ নেন। এরপরই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।’

তবে পরবর্তী সময়ে আবারো সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। মধুর ভূষণ বলেন, “আপা ওই সময় অনেক কান্নাকাটি করতেন। তারা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ফোনে কথাও বলেছেন। ভাইজান বলেছিলেন, ‘তোমার বাবাকে ছেড়ে আসো, আমি তোমাকে বিয়ে করব।’ অন্যদিকে আপা বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব শুধু বাড়িতে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরো এবং মাফ চাও।’ শুধু জিদের কারণে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু আমার বাবা কখনোই চাননি এই সম্পর্ক ভেঙে যাক। এছাড়া ভাইজান এসে তার কাছে ক্ষমা চাইবেন সেটিও চাননি।”

পরবর্তী সময়ে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। মধুবালার বোন বলেন, “যখন তার বিয়ে হয় আপা অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। কারণ তিনি তাকে ভালোবাসতেন। তিনি বলতেন, “তার ভাগ্যে সে (সায়রা বানু) ছিল, আমি না। তিনি একজন সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আমি তাকে নিয়ে খুশি।’ কিন্তু তার মনে শূন্যতা থেকেই যায়।”

এদিকে মধুবালার হৃদপিণ্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ঢাকা/মারুফ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়