অনিল কাপুরের বিশ্বাসঘাতকতায় বেঁচে যায় মাধুরীর ক্যারিয়ার
নব্বই দশকের সফল জুটি অনিল কাপুর ও মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। কিন্তু এক সময় অনিল কাপুর বিশ্বাসঘাতকতা করেন মাধুরীর সঙ্গে! আর এই প্রতিশ্রুতি না রাখার মাশুলও গুনতে হয়েছিল অনিল কাপুরকে। অন্যদিকে তার এই প্রতিশ্রুতি ভঙের কারণে বেঁচে যায় মাধুরীর ক্যারিয়ার। যে সিনেমার জন্য মাধুরীকে দেওয়া কথা রাখেননি অনিল, মুক্তির পর তা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মাধুরীর সঙ্গে কেন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন অনিল?
১৯৮৪ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত ‘অবোধ’ সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হয় মাধুরীর। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন তাপস পাল। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়। কিন্তু এতে অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন মাধুরী। এরপর এ অভিনেত্রী ধারাবাহিকভাবে বেশ কটি সিনেমায় কাজের সুযোগ পান। কিন্তু প্রতিটি সিনেমাই ফ্লপ করে। এ তালিকায় রয়েছে—‘সাথী’, ‘মানব হত্যা’, ‘হিফাজত’ এবং ‘উত্তর দক্ষিণ’ সিনেমা। ১৯৮৬-৮৭ সালে পরপর ৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন মাধুরী। তার অভিনয় দর্শকের মন কাড়লেও সিনেমাগুলো সফল হয়নি। ১৯৮৮ সালে আরো ৩টি সিনেমায় অভিনয় করেন মাধুরী। সেগুলোও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। মাধুরীর শুরুটা এভাবেই হয়েছিল।
অভিনয়ের সূত্র ধরেই অনিল কাপুরের সঙ্গে পরিচয় হয় মাধুরীর। অনিল ও তার ভাই বনি কাপুর তখন বড় বাজেটের একটি সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছিলেন। তাতে মাধুরীকে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাধুরীকে নেননি তিনি। বরং সে সময়ের এক সুপারহিট নায়িকাকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেন। ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’ নামের এ সিনেমা নির্মাণের কথাবার্তা যখন চলছিল, ঠিক তখন মুক্তি পায় ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমাটি। এতে শ্রীদেবীর সঙ্গে কাজ করেন অনিল।
সুপারহিট এই সিনেমায় অভিনয় করে শ্রীদেবীর তারকা খ্যাতি তখন শীর্ষে। তাই বিগ বাজেটের ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’ সিনেমায় মাধুরীর পরিবর্তে শ্রীদেবীকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অনিল। হাতের মুঠোয় এসেও বড় বাজেটের এই সিনেমা মাধুরীর হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৮৭ সালে এই সিনেমার কাজ শুরু করেন অনিল। নানা জটিলতায় এর নির্মাণ কাজ থেমে থেমে চলে। দীর্ঘ ৬ বছর পর মুক্তি পায় ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’ সিনেমাটি। আর এটাই মাধুরীর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। কারণ মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় সিনেমাটি, মাধুরীও আরেকটি ফ্লপ সিনেমার হাত থেকে বেঁচে যান।
অন্যদিকে এই সিনেমা মুক্তির আগে অনিলের সঙ্গেই ব্লকবাস্টার সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান মাধুরী। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমায় অভিনয় করে তারকা বনে যান মাধুরী দীক্ষিত। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
ঢাকা/শান্ত