গত বছর অনেক কিছু করিনি, সেগুলো নতুন বছরে করতে চাই: সজল
পেছন ফিরে দেখলে দীর্ঘ পথের মতো পড়ে আছে ২০২১ সাল। এই পথের ধুলোবালিতে মিশে আছে— ব্যর্থতা, প্রাপ্তি, সুখ-দুঃখ। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে থাকলে শুধু এক জায়গায় থেমে থাকতে হবে। অন্য সাধারণ মানুষের মতো সব ভুলে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজল।
আলাপচারিতার শুরুতেই জানতে চাওয়া হয় সদ্যবিদায়ী বছরটি কেমন কেটেছে? জবাবে সজল বলেন—‘পরিবার, কাজের ক্ষেত্র সবকিছু মিলিয়ে ২০২১ সালটি আমার সুন্দর কেটেছে। আলহামদুলিল্লাহ! যদিও বছরটি কঠিন ছিল। কারণ করোনা সংকট এ বছরেও ছিল। তারপরও বলবো, বছরটি আল্লাহ সুন্দরভাবে পার করিয়েছেন।’
গত বছরের প্রাপ্তির প্রশ্ন তুলতেই থামিয়ে দিয়ে সজল বলেন,‘আমি প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি বলব না। আমার কাছে মনে হয়, যত অন্যরকম কাজ হবে, অন্যরকম কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরি হবে, ততই অন্যরকম একটি ফলাফল আসবে। আসলে এখন ভিন্নরকম বা ভিন্ন মাত্রার কাজটাই জরুরি।’
গত বছর বেশকিছু আলোচিত কাজ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সজল। এ বিষয়ে এই অভিনেতা বলেন, “গত বছর পার্থ সরকারের ওয়েব ফিল্ম ‘ব্যাচ ২০০৩’-তে কাজ করেছিলাম। বর্তমান সময়ের সাইবার বুলিং, মানুষকে নিয়ে টিপ্পনি কাটা, যা খুশি তা বলা— এ জায়গা থেকে ‘ব্যাচ ২০০৩’ একটি প্রতিবাদের গল্প। এটি অন্যরকম একটি কাজ ছিল। গল্প বলার ধরন, উপস্থাপনা অন্যরকম ছিল বলেই এটি প্রশংসিত হয়েছে। আরিফ খানের ‘দোলাচল’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছিলাম। এতে একটি সামাজিক বার্তা রয়েছে। এরও ভালো সাড়া পেয়েছি। আর খুব বেশি নাটক করেছি তা বলব না। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘টিচার’, ‘জুতাচরণ বাবু’ প্রভৃতি। সবগুলোতেই সামাজিক বার্তা রয়েছে। গল্প, নির্মাণ সবকিছু ভালো ছিল বলেই এসব কাজ দর্শকের ভালো লেগেছে।”
নিজের বা অন্যের নেতিবাচক বিষয় খুঁজতে নারাজ সজল। তার ভাষায়— “নিজের বা অন্যের নেতিবাচক বিষয় খুঁজি না। সুতরাং ইতিবাচকই বলবো। লকডাউনের পরে সিনেমা হল খুলেছে। অনেকগুলো ভালো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু কেন যেন দর্শকদের হলে যাওয়ার প্রবণতা কম। দর্শকরা যদি হলে যান তবে বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশে কত ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। নাম ধরে তিনটি সিনেমার কথা উল্লেখ করতে চাই। যেমন: ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘মৃধা বনাম মৃধা’, ‘মিশন এক্সট্রিম’। গত বছর ভালো ভালো এসব সিনেমা একের পর এক মুক্তি পেয়েছে। কষ্ট করে ভালো কনটেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে, সুতরাং দর্শকদের হলে যাওয়া উচিত। পরিবার নিয়ে হলে যাওয়া একটা অভ্যাসের বিষয়। এটা থেকে মানুষ কিছুটা দূরে সরে গেছেন, এখন আবারো এই অভ্যাসে ফিরে আসা উচিত। কারণ মানুষ যখন পরিবার নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটায় তখন একটা বন্ধন তৈরি হয়। একটি ভালো সিনেমার কোথাও না কোথাও ভালো একটি মেসেজ থাকে। আর সেই প্রভাবটা পরিবারে পড়ে।’’
নতুন বছরের প্রত্যাশা জানিয়ে সজল বলেন, ‘‘গত বছরে ক্যারিয়ারের অনেক কিছু করিনি, সেগুলো নতুন বছরে করতে চাই। যেসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নাই, নতুন বছরে সেসব কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই। এ বছরে আমার বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পাবে। এ তালিকায় রয়েছে—‘জীন’, ‘১৯৭১ সেইসব দিন’। এসব সিনেমা নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী।’’
ঢাকা/মারুফ