ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ৩০ ১৪৩১

রাজামৌলি: ব্যর্থতার স্বাদ না পাওয়া এক পরিচালক

মারুফ খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১২ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ১৫:৫৮, ১২ এপ্রিল ২০২২
রাজামৌলি: ব্যর্থতার স্বাদ না পাওয়া এক পরিচালক

ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচিত একটি নাম এস এস রাজামৌলি। তেলেগু ভাষায় সিনেমা নির্মাণ করলেও পুরো ভারতেই এখন তার খ্যাতি। দুই দশকের কেরিয়ারে মাত্র ১২টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই নির্মাতা, যার একটি সিনেমাও এখনো ফ্লপ বা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়নি। 

রাজামৌলির আরেকটি পরিচয় তিনি প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের ছেলে। তার মা রাজা নন্দিনি। ছোটবেলা থেকেই সিনেমা জগতের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন রাজামৌলি, কারণ তার পরিবারের বেশিরভাগই সদস্যই তেলেগু সিনেমার সঙ্গে জড়িত।

তেলেগু টিভি ধারাবাহিক পরিচালনার মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন এস এস রাজামৌলি। তার মেন্টর ছিলেন নিমার্তা কে রাঘবেন্দ্র রাও। কিছুদিন টেলিভিশন জগতে কাজ করার পর বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। ২০০১ সালে জুনিয়র এনটিআর-কে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘স্টুডেন্ট নম্বর ওয়ান’। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। বক্স অফিসে ‘হিট’ তকমা পায় সিনেমাটি।

আরো পড়ুন:

ক্যামেরার পেছনে নির্দেশনায় ব্যস্ত এস এস রাজামৌলি

তবে কেরিয়ারের শুরু থেকেই সিনেমা নির্মাণ নিয়ে কখনোই তাড়াহুড়ো করতেন না জনপ্রিয় এই নির্মাতা। প্রথম থেকে তার দ্বিতীয় সিনেমা ‘সিমহাদ্রি’র মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল দুই বছর। এরপর নিতিন ও জেনিলিয়াকে নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘সাই’। প্রত্যেকটিই দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পায়।

এস এস রাজামৌলির চতুর্থ সিনেমা ‘ছত্রপতি’। প্রভাসকে নিয়ে তার এই সিনেমা তাকে বিশেষ খ্যাতি এনে দেয়। সিনেমায় তার গল্প উপস্থাপনা দর্শককে মুগ্ধ করে। বাবা কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের লেখা গল্প তার কল্পনার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন রাজামৌলি। পরে রবি তেজার সঙ্গে এই নির্মাতার ‘বিক্রমারকুড়ু’ বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়। সিনেমাটি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, পরবর্তী সময়ে এটি তামিল ভাষায় ‘সিরুথাই’, হিন্দিতে ‘রাউডি রাঠোর’ ও কন্নড় ভাষায় ‘বীরা মারাকাড়ি’ নামে রিমেক হয়।

সিনেমায় কল্পনাপ্রসূত কিছু বিষয়ও যোগ করতে শুরু করেন রাজামৌলি। জুনিয়র এনটিআর-কে নিয়ে তিনি তৈরি করলেন ‘ইয়ামাদোঙ্গা’। সামাজিক-ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমাটিও বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়। এখানেই থেমে থাকেননি রাজামৌলি। ‘মাড়িয়াড়া রামান্না’, ‘মাগাধীরা’, ‘এগা’, বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’, ‘বাহুবলি: দ্য কনক্লুশন’ এবং সবশেষ ‘ট্রিপল আর’ সিনেমাগুলোর বক্স অফিসে অভাবনীয় সাফল্য এরই মধ্যে এই নির্মাতাকে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’র তালিকায় যুক্ত করেছে।

বাহুবলি সিনেমার সেটে প্রভাসের সঙ্গে রাজামৌলি

অসামান্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেছেন এস এস রাজামৌলি। তিনবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তিনবার ফিল্মফেয়ার, তিনবার রাজ্য সরকারের নন্দি পুরস্কারসহ আইফা অ্যাওয়ার্ড, স্টার ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এই নির্মাতা। ২০১৬ সালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন এস এস রাজামেলি।

/মারুফ/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়