এখনো জনি ডেপকে ভালোবাসেন অ্যাম্বার
প্রাক্তন স্বামী অভিনেতা জনি ডেপকে এখনো ভালোবাসেন অ্যাম্বার হার্ড। মানহানি মামলায় পরাজয়ের পর প্রথমবারের মতো এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’ অভিনেত্রী।
অ্যাম্বার বলেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসি। হৃদয় উজার করে তাকে ভালোবাসতাম। একটি ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চেষ্টা করেছিলাম। সেটা পারিনি। তার জন্য কোনো খারাপ লাগা বা তার ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। এটা বোঝাটা অনেক কঠিন, আবার সহজও। যদি কাউকে ভালোবাসেন তাহলে সেটি বোঝা সহজ।’
অ্যাম্বার দাবি করেন, জনি ডেপের পক্ষে রায় যাওয়ার অন্যতম কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পাশাপাশি এও জানান, আদালতে তিনি কোনো মিথ্যা বলেননি। এই অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘আমি অনেক ভুল করেছি। কিন্তু সব সময় সত্য বলেছি।’
জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ডের পরিচয় ২০০৯ সালে। ‘দ্য রাম ডায়েরি’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অ্যাম্বার হার্ডের আগে দীর্ঘদিন ভেনেসা প্যারাডিসের সঙ্গে ছিলেন জনি ডেপ। ২০১২ সালে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ভেনেসা ও জনি। এরপর অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন এই অভিনেতা। ২০১৪ সালের মেট গালাতে বাগদান সারেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। পরের বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই জুটি।
বিয়ের পনেরো মাসের মাথায় ২০১৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার। তিনি অভিযোগ করেন, মাদক সেবন করে ও মদ্যপ অবস্থায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন জনি ডেপ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ অভিনেতা। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের আগস্টে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ডিভোর্স নিষ্পত্তি করেন আদালত।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নারীদের নির্যাতন নিয়ে লেখেন অ্যাম্বার হার্ড। যদিও সেখানে তিনি জনি ডেপের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি। তবে ২০১৯ সালে অ্যাম্বার হার্ডের এই লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানি মামলা দায়ের করেন জনি। এই অভিনেতা দাবি করেন, এর কারণে তার অভিনয় কেরিয়ারে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও এটি স্থগিত করতে পারেননি অ্যাম্বার। এরপর পাল্টা ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেন এই অভিনেত্রী।
গত ১ জুন মানহানির মামলার রায় জনি ডেপের পক্ষে দেন আদালত। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ ডেপকে ১ কোটি ৩ লাখ ডলার দিতে হবে হার্ডকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ মামলার রায় অ্যাম্বার হার্ডের পক্ষেও গিয়েছে। আদালত বলেছেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে হার্ড পাবেন ২০ লাখ ডলার।
/মারুফ/