শিবলী ফিরলেন ঘুরে দাঁড়ানোর গান নিয়ে
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী। তার লেখা ও সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় বহু শিল্পী। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক গানে।
মাঝে কিছুটা সময় আড়ালে ছিলেন শিবলী। ব্যস্ত হয়ে পড়েন উপন্যাস লেখালেখির কাজে। তবে এবার ভক্ত-শ্রোতাদের নতুন খবর দিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। এখন থেকে নিয়মিত তাকে পাওয়া যাবে গানের ভুবনে।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এই সংগীতশিল্পী প্রকাশ করলেন ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গান’। যার ভাবনার মূলে রয়েছে হতাশা বা আত্মহত্যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান। ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গান’ শিরোনামের এই গানের সংগীতায়োজন ও কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ইসলাম। আর কথা-সুর করেছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী।
শিবলী বলেন, ‘সবশেষ মনে হয়, চার বছর আগে গানের কাজ করেছিলাম। এরপর তো বই লেখালেখির কাজে সময় দেওয়া শুরু করলাম। এর মধ্যেই খেয়াল করে দেখলাম, কোথাও কোনো সুখবর নেই, চারিদিকে শুধু হতাশা! রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক অথবা ব্যক্তিজীবন সব কিছুতেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। এসব থেকে বাঁচার জন্য মানুষ নিজেকে নিজেই হত্যা করছে। আর বর্তমান সময়ে আত্মহত্যা রূপ নিয়েছে মহামারিতে।’
এ গান রচনার পেছনের গল্প জানিয়ে শিবলী বলেন, ‘প্রতি বছর বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করছে। প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ আত্মহত্যা করছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ জন মানুষ আত্মহত্যা করছে। আমাদের আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ গোপনে গোপনে প্রস্তুত হচ্ছে; নিজেকে শেষ করে দেওয়ার, আমরা কি সে সব খবর রাখি? এসব ভাবনা থেকেই নতুন এই গানের কথা লিখলাম।’
লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, এখন থেকে নবীন শিল্পীদের নিয়ে প্রতিনিয়তই নতুন গান প্রকাশ করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠেও আসবে নতুন গানের নানা আয়োজন।
উল্লেখ্য, লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ‘কষ্ট পেতে ভালবাসি’, ‘কেউ সুখি নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘নীল বেদনা’, ‘আহা জীবন’, ‘একটা চাকরি হবে চাঁদমামা’, ‘জেল থেকে বলছি’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’, ‘প্রিয় আকাশি’, ‘নাটোর স্টেশন’, ‘একজন বিবাগি’, ‘এ-শহরের কত-শত অট্টালিকার ফাঁকে’, ‘পলাশির প্রান্তরে’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘হ্যলো ঢাকা’, ‘হাজার বর্ষা রাত’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে শোনা যায়।
ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত