তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যে কাজ করতে পেরে গর্বিত: স্মরণ
প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের চিত্রনাট্য এবং কথা সাহিত্যিক সেলিম মোরশেদের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আবির ফেরদৌস মুখর। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আহসান স্মরণ।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে আহসান স্মরণ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি এবং মুখর ভাই অনেক আগে থেকেই একসঙ্গে কাজ করি। ২০১৭ সালে মুখর ভাই কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদের গল্প এবং বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যে একটি শর্টফিল্ম বানাবেন বলে জানান। তার কথা শুনে নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাই। স্ক্রিপ্ট পড়ে চরিত্রটিও পছন্দ হয়। অন্তর্দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকা একটি জটিল চরিত্র সুব্রত সেনগুপ্ত।’
সুব্রত সেনগুপ্ত চরিত্রে আহসান স্মরণ
এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের প্রশংসা করে আহসান স্মরণ বলেন, ‘সুব্রত সেনগুপ্ত সময়ের সঙ্গে গা ভাসিয়ে চলা একজন মানুষ। জীবনের প্রতিটি বাঁকে অসংখ্য ভুল করে সে। সেজন্য সবসময় অন্তর্দ্বন্দ্বে ভোগে। শেষ জীবনে সেই দ্বন্দ্ব তাকে জড়িয়ে ধরে আষ্টেপৃষ্টে। তবে শেষের চমকটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলবে। পাকা হাতের চিত্রনাট্যের স্বাদ ঠিকই চেখে নিতে পারবেন দর্শক।’
তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যে অভিনয় করতে পেরে গর্বিত স্মরণ। তা উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যে কাজ করতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবির ভাই আমাকে সেই সুযোগ করে দেওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’
নিজের অভিনয় জীবনের শুরু নিয়ে আহসান স্মরণ বলেন, ‘‘২০০৭ সালে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালীন থিয়েটারে হাতেখড়ি। ‘বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী’ আমার প্রথম থিয়েটার। যদিও আমি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম, তবে অভিনয় আমার ভালো লাগত। পরবর্তীতে ঢাকায় আসার পর ‘নাটনন্দন’ থিয়েটার হয়ে ওঠে আমার বাড়িঘর। থিয়েটারের মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে পা রাখা।
অভিনেতা আহসান স্মরণ
‘বেশকিছু শর্টফিল্ম দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসার সুযোগ হয়। ২০১৫ সালে প্রখ্যাত পরিচালক আশরাফ শিশিরের ‘আমরা একটা সিনেমা বানাব’ চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হয়। এরপর ২০১৮ সালে ‘লোনী’ নামে একটি পূর্ণদৈঘ্য সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করি। এর পাশাপাশি সম্প্রতি ময়না, সলতে, হিসাব বিজ্ঞান নামে কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি।”
অভিনয়ের পাশাপাশি নির্দেশনা ও চিত্রনাট্য রচনায় সমান মনোযোগী এই তরুণ অভিনেতা। ২০১৮ সালে ‘আকাশে’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে অভিনয়ই তাকে বেশি টানে।
এ প্রসঙ্গে আহসান স্মরণ বলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় অভিনয়ের জন্যই জন্মেছি। এটি আমাকে সবসময় টানে। অভিনয়ই আমার ভালো লাগার স্থান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এটাই করে যেতে চাই।’
ঢাকা/শান্ত