ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম শুধু ওদের দেখার জন্য: বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৫:১২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম শুধু ওদের দেখার জন্য: বাঁধন

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আনন্দ-জোয়ারে ভাসছে দেশের মানুষ। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিয়ে গতকাল দুপুরে ঢাকায় পা রাখে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এ সময় নানা আয়োজনে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। 

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই অর্জনে শুরু থেকেই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নারী ফুটবল দলের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ফুটওভার ব্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই অভিনেত্রী। রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে সেই উচ্ছ্বাসের কথা জানান বাঁধন। 

গতকালের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমার মেয়ের স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায়। ওর স্কুল উত্তরায়। ১টার সময় মেয়েকে পিক করি। তারপর কাওলা ফুটওভার ব্রিজে গিয়ে দাঁড়াই। স্কুল শেষ করে আসায় আমার মেয়ে খুব ক্লান্ত ছিল। তবু আমি চেয়েছিলাম এই অভিজ্ঞতা ওর হোক। দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমরা ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম; শুধু ওদের দেখার জন্য। আমি ও আমার মেয়ে খুব এনজয় করেছি। আমি এত জোরে চিৎকার করছিলাম যে, মেয়ে বলছিল— মা আমার কান ফেটে যাচ্ছে! আমি চিৎকার করছিলাম কারণ এই অর্জন দেশের অনেক অনেক মেয়েকে সাহস জোগাবে।’

আরো পড়ুন:

বাধ ভাঙা গল্পগুলো সামনে আসলেই মুক্তি মিলবে বলে মনে করেন বাঁধন। তার ভাষায়—‘আমি বিশ্বাস করি, যখন বাধ ভাঙা গল্পগুলো সামনে আসবে, তখনই আমাদের মুক্তি হবে। ওই জায়গা থেকে এটি আমার কাছে ভীষণ আনন্দের।’

সাফ চ্যাম্পিয়নদের বরণের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কিন্তু সেখানে বসার জায়গা পাননি দলের কোচ ও অধিনায়ক। তারা পেছনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন। এ ছবি প্রকাশ্যে আসার পর নেটদুনিয়ায় জোর সমালোচনা চলছে। বাঁধনের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গ উঠে আসে।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি শুধু আনন্দটাই প্রকাশ করতে চেয়েছি, আর সেটাই করেছি। আপনি যে প্রশ্ন করলেন এ বিষয়ে বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। আমি এই আনন্দের সঙ্গে ওটাকে মেলাতে চাই না।’

‘আসলে এই সমস্যা শুধু এখানে নয়, এটা সব জায়গার সমস্যা। আমরা যেখানে কাজ করি এটা সেখানকারও ক্রাইসিস। আমাদের এখানে নারী প্রধান গল্প হয় না। এটা আমাদের সমাজ ব্যবস্থারই একটি অংশ। পুঁজিবাদী সমাজে যাদের টাকা আছে, পাওয়ার আছে— তারা এমনটা করবেই। এটা পরিবার থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রযোজ্য।’ বলেন বাঁধন।  

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়