অভিনয়ে ফারুকী
জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নির্মাণ ক্যারিয়ারে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটক-চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। পলিট্রিক্যাল গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘৪২০’-এর মতো দীর্ঘ ধারাবাহিক। ৩৫ বছরের নির্মাণ ক্যারিয়ারে কখনো অভিনয় করেননি। এই ধারাবাহিকতা ভেঙে অভিনয়ে নাম লেখালেন ফারুকী।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির উদ্যোগে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ সিরিজের অংশ হিসেবে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন ফারুকী। এগুলো হলো— ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এবং ‘মনোগামী’। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফারুকী।
অভিনয়ের অবিজ্ঞতা জানিয়ে ফারুকী বলেন, ‘গত পঁচিশ বছর ধরে কাজ করছি। নানা রকম গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেগুলোর একেকটা একেক রকমভাবে মানুষকে স্পর্শ করেছে। কোনোটা বেশি, কোনোটা হয়তো কম। অভিনয় কেমন হওয়া উচিত, কোন গল্প বলা জরুরি— এসব নিয়ে সারাক্ষণই নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে কাজটা কখনো করার চেষ্টা করিনি, তা হলো অভিনয়।’
‘‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমা লেখার সময় থেকেই আমি এবং তিশা দুইজনই জানি, এখানে আমাদের দুইজনকেই অভিনয় করতে হবে। প্রথম দিকে এটা নিয়ে আমার মধ্যে ইতস্তত ভাব ছিল। কারণ অভিনয় একটা ভালনারেবল কাজ। আর এই গল্পে অভিনয় তো আরো ভালনারেবল ব্যাপার। রেদওয়ান রনি গল্প শোনার পর বললো, বস, এই ক্যারেক্টার আপনাকেই করতে হবে। তারপরও আমার সংশয় না কাটলে তিশা আমাকে হেল্প করে সিদ্ধান্ত নিতে। ও বলে, ‘এই গল্প তুমি জীবনে একবারই করতে পারবে। করে ফেল, প্লিজ!’ তারপর তো বাকিটা ইতিহাস। তৈরি হয়ে গেল ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ওরফে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ মিনিস্ট্রি অব লাভের জন্য বানানো আমার দ্বিতীয় সিনেমা। অপেক্ষায় আছি কত দ্রুত দর্শক সিনেমা দুইটা দেখতে পান!’’ বলেন ফারুকী।
‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় ফারুকীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ইলহাম হওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে পারব, এটা ধারণা ছিল না। থ্যাংকস টু ফারুকী! ও আমাকে সেই আত্মবিশ্বাসটা দিয়েছে যে, আমি আবার ফিট হয়ে কাজ করতে পারব। ফারুকী খুব ভালো ডিরেক্টরের পাশাপাশি ভালো অভিনেতা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সেটা ক্যামেরার পেছনে। এখন সেটা সবার সামনে চলে আসলো আরকি। এজন্য এখন একটু ভয় লাগছে! অন্য ডিরেক্টর যদি ওকে নিয়ে কাজ শুরু করে, ও যদি নায়ক হয়ে যায়, তখন কী হবে!’
ফারুকীর দুটো সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে। তা জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘আজকের দিনটা বাংলাদেশের সিনেমার জন্য খুব সুন্দর একটা দিন। যেখানে ভ্যারাইটির গ্লোবাল বুলেটিনে হেডলাইন হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তিনটা সিনেমা, একটা এপিএম প্রজেক্ট আর একজন এএফএ পার্টিসিপেন্ট এবার বুসানে নির্বাচিত। তিনটা সিনেমার মধ্যে তিনটাই দুই কম্পিটিশনে! হোয়াট আ বিউটিফুল ইয়ার।’
ঢাকা/শান্ত