ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

ডিপজলের জন্য ২৫ লাখ টাকার খাট বানালেন ভক্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ০৯:৪৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া। তিনি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার আবদুর সাত্তার মিয়ার ছেলে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের অন্ধভক্ত তিনি।

ডিপজলকে ভালোবেসে ‘মামা’ বলে ডাকেন দুলাল। ডিপজলের প্রতি ভালোবাসা থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ৩ বছর ৮ মাস ধরে নিজ হাতে তৈরি করেছেন বিশাল এক রাজকীয় খাট। এই খাট দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য উৎসুক মানুষ আসছেন। দুলালের ইচ্ছে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল এই খাট উপহার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে গ্রহণ করবেন।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, ২০০৮ সালে মনোয়ার হোসেন ডিপজল অভিনীত ‘দাদীমা’ সিনেমা দেখার মাধ্যমে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসার জাগে। এরপর থেকেই নিয়মিত ডিপজলের ছবি দেখা শুরু করেন। একসময় নিজের অজান্তেই ডিপজলের একজন অন্ধভক্ত হয়ে যান। এমনকি ভালোবেসে ডিপজলকে মামা নামে ডাকেন।

দুলাল মিয়া আরও বলেন, ‘ডিপজল মামার প্রতি ভালোবাসার কারণে উনাকে নিজের হাতে বানিয়ে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই ধীরে ধীরে দীর্ঘ ৩ বছর ৮ মাসে তাজমহলের ডিজাইনে খাট তৈরি করেছি। খাটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৬ ফুট। খাটটি তৈরি করতে আসল আকাশি কাঠ ব্যবহার করেছি। এছাড়া নকশায় ব্যবহার করেছি ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের ডিজাইন ও বিভিন্ন অংশ সংযোগ করতে ৮০টি নাট। আমি যেহেতু বেশিরভাগ সময় ব্যবসার কারণে দোকানে থাকি, খাটটি চোখের সামনে যেন থাকে তাই দোকানেই রেখেছি।’

এদিকে, ডিপজলের এই অন্ধভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়ায় উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো আনিছ মিয়া বলেন, দুলাল আমাদের এলাকার ছোট ভাই। অভিনেতা ডিপজলকে মামা বলে ডাকেন। তার প্রতিটি সিনেমা দুলাল দেখেছেন। ডিপজলের কোনো পোস্টার পেলেই দোকানে এনে লাগাতেন। ডিপজলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই খাট তৈরি করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে ডিপজল এটি গ্রহণ করলে দুলালের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

খাইরুল হোসেন নামের একজন খাটটি দেখতে এসে বলেন, দুলাল ডিপজলের অন্ধভক্ত। কারো সঙ্গে কথা বললেও ডিপজলের শুধু প্রশংসাই করেন। আর এই খাটটি তৈরির সময় অনেকটা গোপনেই করেছে, কাউকে সামনে যেতে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে সবার কৌতুহল ছিল।

দুলালের বড় ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, আমার ছোট ভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এই খাট ডিপজলের জন্যে তৈরি করেছে। অনেক শখ করে সে এটা বানিয়েছে। যেন এই খাটের উছিলায় ডিপজলের সঙ্গে দুলালের দেখা হয় আর এই খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।

মাইনুদ্দীন রুবেল/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়