ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

নৃত্য পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না দেওয়ায় ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ১ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৮:০৪, ১ নভেম্বর ২০২৩
নৃত্য পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না দেওয়ায় ক্ষোভ

গতকাল ২৮টি বিভাগে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বারের মতো এবারো ‘শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক’ বিভাগে কোনো প্রার্থী যোগ্য বলে বিবেচিত হননি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের নৃত্য পরিচালকরা; জুরি বোর্ড নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক খোকন বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নৃত্য বিভাগকে জাতীয় পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হলো। রীতিমতো এটা বিমাতাসূলভ আচরণ। অথচ বাণিজ্যিক সিনেমার প্রাণ হলো গান আর নাচ। আপনি গান বাছাই করতে পারলেন। কিন্তু নৃত্য কোরিওগ্রাফিকে অস্বীকার করলেন কোন বিবেচনায়?’

জুরি বোর্ডে নৃত্য পরিচালকদের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই আমরা দেখছি নৃত্য ক্যাটাগরিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, তাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নৃত্য পরিচালকদের প্রতিনিধি রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জুরি বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া নিয়েই আমার প্রশ্ন। তারা কি জাতীয় পুরস্কার ক্যাটাগরি থেকে কোরিওগ্রাফিকে বিদায় দিলো নাকি তারা বোঝেনই না। যদি তাই না হয়, তবে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিতে প্রতিনিধিত্ব করার মতো কাউকে নির্বাচন করা হয়নি। এটা শিল্পের প্রতি সরাসরি অপমান। একই সঙ্গে শিল্পের অগ্রগতির জন্য সাংঘর্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি।’

অপরদিকে সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার হাবিবুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ‘শুনতে পারলাম এবারো নাকি কোনো গানে নৃত্য পরিচালকের পুরস্কারটি বিবেচনায় আসেনি। আমার জানামতে এবারের পুরস্কারের জন্য সব ধরনের গান জমা পড়েছিল; যেখানে নাচের গান, দুঃখের গান এবং রোমান্টিক গানসহ সব ধরনের গানই ছিল। তারপরও কেন বিবেচনায় এলো না, সেটা আমার বুঝে আসে না। আসলে কি ধরনের গান হলে পুরস্কারের জন্য আমরা আশা রাখতে পারি খুব জানতে ইচ্ছে করে?’

‘এবারের পুরস্কারের জন্য আমার করা ৬টি কমার্শিয়াল সিনেমা জমা পড়েছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘গলুই’, ‘দিন দ্যা ডে’, ‘যাও পাখি বলো তারে’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’, ‘বীরত্ব’ ও ‘মুখোশ’। আশা করি, এই সিনেমাগুলোর মধ্যে সব ধরনের গানই ছিল, তারপরও কেন বিবেচনায় এলো না সেটা বুঝতে পারলাম না।’ বলেন হাবিবুর রহমান।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়