‘এই অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না’

দেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তি বিশেষ, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবার চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা’  পাচ্ছেন দেশের নন্দিত দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এ আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা খসরু এবং চিত্রনায়িকা রোজিনা।

পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের নাম প্রকাশের পর গুণী অভিনেত্রী রোজিনা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। ভীষণ আনন্দিত আমি। এই অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। এর আগে দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছি। এবার পেলাম সবচেয়ে বেশি সম্মানের আজীবন সম্মাননা। এর চেয়ে বড় আনন্দ মনে হয় না কিছু হতে পারে।’

১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রোজিনা। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর অসখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।  

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন রোজিনা। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে— ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’।

এদিকে, প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন রোজিনা। সিনেমাটির নাম ‘ফিরে দেখা’। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরব ও অর্চিতা স্পর্শিয়া প্রমুখ। পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন রোজিনা। সিনেমাটি চলতি বছরের ১৬ জুন মুক্তি পায়।