ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

টাকার বিনিময়ে গান ব্যবহারের অনুমতির গুঞ্জন, মুখ খুললেন কবির নাতনি

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১২ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০২৩
টাকার বিনিময়ে গান ব্যবহারের অনুমতির গুঞ্জন, মুখ খুললেন কবির নাতনি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান ‘কারার ওই লৌহ-কপাট’। বলিউড নির্মাতা রাজা কৃষ্ণা মেনন তার ‘পিপ্পা’ সিনেমায় ব্যবহার করেছেন এটি। নতুন করে এ গানের সুর করেছেন এ আর রহমান। এতেই বেঁধেছে বিপত্তি; গানের সুর বিকৃতি করায় দারুণ তোপের মুখে পড়েছেন এই গায়ক। ক্ষুব্ধ দুই বাংলার সংগীতপ্রেমী শ্রোতারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন জোর চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে ‘কারার ওই লৌহ-কপাট’ গানের বিকৃতির প্রসঙ্গ। গুঞ্জন উড়ছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘পিপ্পা’ সিনেমায় গানটি ব্যবহার অনুমতি দিয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার। সত্যি কি এমনটা করেছেন কবির পরিবার? এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি অনিন্দিতা কাজী।

অনিন্দিতা কাজী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাস করেন। সেখান থেকে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। লেখার শুরুতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি অনিন্দিতা কাজী, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি। বর্তমানে নিউ জার্সি প্রবাসী। দাদুর ‘কারার ওই লৌহ-কপাট’ গানটির সুর বিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার শিল্পী এ আর রহমান। গোটা বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী, যার বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে, নজরুলকে ঘিরে, নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি। কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে তিনি মৃত্যুর পরেও ভাবতে পারেননি বোধহয়।’’

আরো পড়ুন:

‘মিডিয়ার মারফত গোটা বিষয়টি জানি আমি। প্রশ্ন উঠছে, ‘পরিবার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে কি এগ্রিমেন্ট হয়েছিল সেটা জানা খুব প্রয়োজন, তাহলে সব বিতর্কের অবসান হবে এবং যারা এগ্রিমেন্টের বিপক্ষে গিয়ে এই কাজটি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’ বলেন অনিন্দিতা কাজী।

চুক্তিপত্র দেখতে চান অনিন্দিতা কাজী। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘সার্বিক স্বচ্ছতার কারণে ও একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে এই অজানা বিষয়টি জানার দাবি রাখি। মিডিয়া মারফত জানতে পারি, এগ্রিমেন্টের কাগজ কাজী অনির্বাণের কাছে আছে। পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই, পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাইছি।’

উল্লেখ্য, সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এ আর রহমান। তার সঙ্গে আরো গেয়েছেন রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাস, শালিনী মুখার্জি, দিলাশা চৌধুরী, শ্রয়ী পাল প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়