ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৪ ১৪৩১

‘একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে তার স্ত্রী’

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৯:৫০, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
‘একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে তার স্ত্রী’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা মিশা সওদাগর। নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে এই অভিনেতা। পর্দার নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেলেও বাস্ততে উল্টো। পর্দায় অন্যের প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নিতে দেখা গেলেও বাস্তবে প্রেমিক পুরুষ এই খল অভিনেতা। তার প্রেমকাহিনি যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন মিশা সওদাগর। তার স্ত্রীর নাম মিতা। দেখতে দেখতে এক ছাদের নিচে ৩০টি বছর পার করেছেন এই দম্পতি। আজকের (৫ ডিসেম্বর) এই দিনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিশা-মিতা।

স্ত্রী মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিশা সওদাগর তার ফেসবুকে লেখেন, ‘৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে, মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রী। যে তার মানসম্মান, অর্থ প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা, সন্তান-সন্ততি আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা, অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভ হোক বিবাহবার্ষিকী।’

আরো পড়ুন:

প্রেম ও বিয়ের স্মৃতিচারণ করে মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রেমের যখন শুরু তখন আমি ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তো নবম শ্রেণিতে। আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রেম।’

প্রেমে পড়ার গল্প জানিয়ে জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা বলেন, ‘আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরু করেছিল মিতা। তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি।’

মিশা সওদাগরের স্ত্রী মিতা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েও প্রেমের কারণে তা ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবর ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরো অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।’

মিশা-মিতা দম্পতি দুই পুত্র সন্তানের বাবা-মা। তারা আমেরিকাতে বসবাস করেন; সুযোগ পেলেই সেখানে উড়ে যান মিশা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়