ঢাকা     সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৬ ১৪৩১

একযোগে ৬৩ জেলায় সেই সিনেমা! 

প্রকাশিত: ১৭:০১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩  
একযোগে ৬৩ জেলায় সেই সিনেমা! 

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বছরের শুরুতে ২৭ জানুয়ারি ঢাকাসহ দেশের মাত্র ৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো ‘সাঁতাও’। এতে তারকা শিল্পী না থাকায় সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে চালাতে চায়নি হলমালিকরা। গণ-অর্থায়নে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমাটি নির্মাণ করেন তরুণ নির্মাতা খন্দকার সুমন। এবার সেই সিনেমাটি দেশের ৬৩ জেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে। 

নির্মাতা খন্দকার সুমন জানান, ৩১ ডিসেম্বর, বছরের শেষ দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ৬৩টি জেলায় ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একযোগে এদিন বিকাল ৪টায় বড় পর্দায় দেখা যাবে সিনেমাটি।

দেশের ১৭টি চলচ্চিত্র নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘গণজাগরণে চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশজুড়ে। তারই অংশ হিসেবে বছরের শেষ দিন প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ‘সাঁতাও’। 

এ প্রসঙ্গে খন্দকার সুমন বলেন, ‘৬৩ জেলায় বড় পর্দায় একযোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসবগুলো হয়, সেখানেও একযোগে এতগুলো প্রদর্শনী হয় না। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভাই সব সময় সুস্থধারার চলচ্চিত্রের সাথে ছিলেন বলেই গণ-অর্থায়নে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের ভাগ্যে এমন প্রদর্শনী জুটল।’

গণ-অর্থায়নে নির্মিত ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে কেবল আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড থেকে চলচ্চিত্রটি দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে দেখতে হলে বায়স্কোপ অ্যাপ থেকে দেখতে হবে।

২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ বাংলাদেশ প্যানারমা বিভাগে ফিপ্রিসির সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘সাঁতাও’ পুরস্কৃত হয়। চলচ্চিত্রটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল গত ২৭ জানুয়ারি। এরপর গত মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সিনেমাটির বিকল্প প্রদর্শনী হয়েছে।

কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ পর্দায় হাজির করেছে ‘সাঁতাও’। এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক।

ঢাকা/রাহাত/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়