সিগারেট নয়, মহেশের ঠোঁটে আয়ুর্বেদিক বিড়ি
মহেশ বাবু ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করেন
দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মহেশ বাবু। অভিনয় ক্যারিয়ারে বিচিত্র সব চরিত্র রূপায়ন করেছেন। বাস্তবভিত্তিকভাবে চরিত্র রূপায়নের জন্য নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে তাকে।
মহেশ বাবুকে নিয়ে পরিচালক ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস নির্মাণ করেছেন তেলেগু ভাষার ‘গুন্তুর করম’ সিনেমা। গত ১২ জানুয়ারি বিশ্বের ২ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির অধিকাংশ দৃশ্যে মহেশ বাবুকে ধূমপান করতে দেখা যায়। আর এসব দৃশ্যের জন্য সত্যি সত্যি সিগারেট খেয়ে (ধূমপান) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এই নায়ক।
কয়েক দিন আগে হারিকা অ্যান্ড হাসিন ক্রিয়েশন্সকে সাক্ষাৎকার দেন মহেশ বাবু। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আমি ধূমপান করি না এবং ধূমপানে উৎসাহিতও করি না। এ সিনেমায় আমি যে বিড়ি পান করেছি, তা আয়ুর্বেদিক বিড়ি ছিল। তবে শুরুতে আসল বিড়ি (সিগারেট) ব্যবহার করেছিলাম। এটি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়।’
বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে মহেশ বাবু বলেন, ‘বিষয়টি ত্রিবিক্রমকে জানাই। এ নিয়ে বেশ ভাবনা-চিন্তা করার পর ত্রিবিক্রম আমাকে আয়ুর্বেদিক বিড়ি এনে দেয়। এটি চমৎকার ছিল। এই বিড়িটি লবঙ্গ গাছের পাতা দিয়ে তৈরি, যা থেকে পুদিনাপাতার গন্ধ পেতাম। ধূমপানের পরে মুখে পিপারমিন্ট স্বাদও পাওয়া যেত। এর মধ্যে কোনো তামাক ছিল না; যার ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’
‘গুন্তুর করম’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ। ১৫০-২০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন এস রাধা কৃষ্ণা।
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত